৩০ ডিসেম্বর ভোট: পুনঃতফসিলের প্রজ্ঞাপন জারি
ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ধরে ঘোষিত এই পুনঃতফসিলে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন জোট ও দলের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার (১২ নভেম্বর) সকালে কমিশন সভা করে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রদর্শনীতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
বিকালে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরে পুনঃনির্ধারিত তফসিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি প্রথম তফসিল দেন। তাতে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ধরে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ২২ নভেম্বর বাছাই এবং ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হয়েছিল। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে গঠিত দশম সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ফলে তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির সামনে।
জোটভুক্ত প্রতীক ব্যবহারে আরও তিন দিন সময়
জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন দল যদি শরিক দলের প্রতীক ব্যভহার করতে চায়, তা নির্বাচন কমিশনে জানাতে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলি ইসি। এখন পুনঃতফসিল হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে বলে ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান।
প্রচার শুরু ১১ ডিসেম্বর থেকে
পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরদিন ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং অফিসাররা। সেক্ষেত্রে প্রার্থীরা ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রচারে নামতে পারবে বলে জানান এস এম আসাদুজ্জামান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীরা ভোটের দিনের ২১ দিন আগে থেকে আনুষ্ঠনিক প্রচার চালাতে পারেন।