ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজের বুড়ো বয়সের ছবি পোস্ট করছেন। ফেসঅ্যাপ নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে এই ধরনের ছবি তৈরি করা যাচ্ছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে এই কাজ করছে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপটি। তবে ফেসঅ্যাপ ব্যবহার কিন্তু পরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ফেসঅ্যাপ ব্যবহারের শর্তাবলী সেই কথা বলছে। খবর এনডিটিভির
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে যে কোন মানুষের ছবিকে এডিট করে দেবে ফেসঅ্যাপ। সে কারণেই আবার জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে মোবাইল অ্যাপটি। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস থেকে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। ছবিতে বয়স কমানো অথবা বাড়ানো ছাড়াও এই অ্যাপ ব্যবহার করে চুল ও দাঁড়ির কায়দা বদল করা সম্ভব। স্মার্টফোন থেকে যে কোন ছবি নিজেদের সার্ভারে আপলোড করে এই ছবি এডিটিং এর কাজ করে ফেসঅ্যাপ। আর সেখানেই সন্দেহের সূত্রপাত।
টুইটারে এলিজাবেথ পটস উইন্সটাইন নামে এক নারী ফেসঅ্যাপ ব্যবহারের শর্তাবলী পোস্ট করে একটি টুইট করেছেন। সেখানে যা লেখা রয়েছে তা পড়লে চমকে যেতে পারেন। ফেসঅ্যাপ ব্যবহারের শর্তাবলীতে লেখা রয়েছে, এই অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি কোম্পানির সার্ভারে আপলোড করা সব ছবি, নিজের নাম, আপনি কী পছন্দ করেন, আপনার গলা এই সব তথ্য বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহারের আনুমতি দিচ্ছেন।
ইউরোপের একাধিক দেশে ব্যক্তিগত তথ্য গ্রাহককে না জানিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বেআইনি। সেই ক্ষেত্রে ফেসঅ্যাপ যে দেশে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বেআইনি নয় সেই দেশে এই সেই তথ্য পাঠিয়ে অন্য দেশের নিয়ম দেখিয়ে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাবে ফেসঅ্যাপ।
নিজের সব ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফেসঅ্যাপ এর সাথে ভাগ করে নিতে না চাইলে এই অ্যাপ থেকে দূরে থাকাই ভালো। এর আগেও একাধিক অ্যাপ এই ধরনের কাজ করে কয়েক কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। অনলাইন দুনিয়ায় এখন সব থেকে দামি জিনিস গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য। সেই তথ্য গ্রাহকের অজান্তে হাতিয়ে বিপুল টাকা রোজগার করছে এই কোম্পানিগুলো।
এর আগেও ২০১৭ সালে ভাইরাল হয়েছিল ফেসঅ্যাপ। তখনও এই অ্যাপ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাই মজার ছলে ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করে আদতে নিজের বিপদ ডেকে আনছে না তো? সৌজন্যেঃ সমকাল