ঠাকুরগাঁওয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বারকলিপি ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আংশকা
গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও || কোরবানীর পশুর মজুদকৃত কাচা চামড়া বিক্রয় এবং বকেয়া টাকা উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শেষে এ স্বারকলিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ীরা।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, চামড়া সঠিক মুল্য না পাওয়া ও বকেয়া টাকা না পাওয়ায় জেলার অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ী আজ পথে বসেছে। জেলায় শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী থাকলে বর্তমানে ৩০-৩৫ জন ব্যবসায়ী এ ব্যবসা ধরে রেখেছে। ট্যানারী মালিকদের কাছে ৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামড়া কেনার ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেন নি। জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পিচ চামড়া লবন জাত করে রাখা হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে চামড়া বিক্রি না হলে এসব চামড়া নস্ট হবে। অন্যদিকে চামড়ার দাম না পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ক্রয়কৃত চামড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভারতে পাচার করবে বলে আশংকা করছেন জেলা চামড়া ব্যবসায়ীরা।
স্বারকলিপি প্রদানের আগে জেলা ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসাীয় সমবায় সমিতির প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের সাথে মত বিনিময় সভা করেন।
জেলা ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসাীয় সমবায় সমিতির আহবায়ক ইউনুস আলী জানান, আমরা ঋণ করে চামড়া সংগ্রহ করে লবন জাত করে রেখেছি। এখনো পর্যন্ত ট্যানারির কোন প্রতিনিধি আমাদের সাথে যোগা যোগ করছে না। এবং বকেয়া টাকা ফেরতের বিষয়েও কোন পথ পাচ্ছি না। সে কারনে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বারাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, আমি স্বারকলিপি পেয়েছি। আমাদের জেলায় কোন চামড়া নস্ট হয়নি। চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত ও সরকার নির্ধারিত মুল্যে যেন চামড়া বিক্রি করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।