হুদা ভাইয়ের নন-এমপিও হোটেল!!!!!!!!!!!!!
নিজস্ব প্রতিনিধি || পেট বুঝেনা তার মালিকের অবস্থা। এমপিও-নন এমপিও এতসব হিজি-বিজি ভাষা ওর বুঝার কথা নয়। ও চায় খাবার, খাবার পেলেই ওর খুশি আর কে দেখে? কিন্তু নন-এমপিও শিক্ষকের পকেটের অবস্থা যে গড়ের মাঠ সেটা পেটকে বুঝানো যায় না। বাসা থেকে সকাল বেলা নন-এমপিও সিস্টেমে যা খাওয়া হয় তার মেয়াদ ২/৩ ঘণ্টার বেশি থাকেনা।
মোচর দিয়ে ওঠে, এমন তুলকালাম কান্ড শুরু করে দেয় যে মাথা ঘুরে, শরীর আর চলতে চায় না। এমতাবস্থায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা তো দুরের কথা গায়ে মাছি পড়লেও সহ্য হয় না। অগত্যা দৌড়াতে হয় হোটেলে পেটে জামিন দেয়ার জন্য কিন্তু দ্রব্যমূল্যের যা অবস্থা তাতে হোটেলে বসে সামান্য কিছু খেয়ে বিনে পয়সার পানি দিয়ে বাকি জায়গা পূরণ করতে হয়! এহেন পরিস্থিতিতে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকার নন-এমপিও শিক্ষকগণ পেটে জামিন
দেয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন চিলাহাটি বাজারের হুদা ভাইয়ের হোটেল। এ হোটেলের পরিবেশ যদিও স্বাস্থ্যকর নয়, শিক্ষক সমাজের জন্য বেমানান তথাপি এটাই জোঁক গল্পের ওসমানের মত পেটে জামিন দেয়ার জন্য একমাত্র ভরসা। এখানে কম মূল্যে ভাত-নাস্তা পাওয়া যায়। ধারেও খাওয়ানো হয়। নন-এমপি শিক্ষকদের দূর্দশা অশিক্ষিত হুদা ভাই বুঝলেন কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বুঝলেন না কিংবা তাঁকে বুঝতে দেয়া হচ্ছে না।
আইউব আলী
অধ্যক্ষ
চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ
ডোমার, নীলফামারী।