শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ শিক্ষকদের প্রত্যাশা
নিজস্ব প্রতিনিধি ||
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত্ ও বুঝাপড়া শেষ হলেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে ইনশাললাহ।সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার সাক্ষাত্কার চেয়ে আবেদন পত্র দেয়া হয়েছে।আশা করছি শত ব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষক সমাজের সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত্কার দিবেন।ইতিমধ্যে কিছু নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার।এজন্য ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবনমান ও বর্তমান শিক্ষার যে ভগ্নদশা তার দিকেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মনোযোগ দিতে হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার।দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজননেত্রী শেখ হাসিনা ৩৪ বছর পর বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট নিয়মিত করেছেন।বৈশাখী ভাতাও দিয়েছেন।এটা শিক্ষক সমাজ আমরা স্বীকার করছি।কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও ২৫%ঈদবোনাস এর কোন পরিবর্তন হলোনা।এ নিয়ে শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মাত্র ১০০০টাকা এবং চিকিত্সা ভাতা ৫০০টাকা।এসব দিয়ে শিক্ষকরা কোন রকম জীবন যাপন করছেন।কিন্তু এর মাঝেই কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শিক্ষকদের বেতন থেকে ৪%কর্তন করা হচ্ছে।শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড- অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের টাকা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।আজ সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে দাবি উঠেছে-বেসরকারি শিক্ষক -কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড বিলুপ্ত করে অবিলম্বে নিয়মিত “পেনশন ব্যবস্থা” চালু করার।
শিক্ষক -কর্মচারীদের বেতন থেকে বর্তমানে ১০% কর্তন করা হচ্ছে।কর্তনের টাকার কোন হিসাব শিক্ষকদের নিকট থাকেনা।এটা খুবই দুঃখজনক।এসব VISIBLE করতে হবে।শুভংকরের ফাঁকি থাকবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শিক্ষা বাঁচান।এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে জাতীয়কর ঘোষণা করুন।প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে জাতীয়করণ করা হলে সরকারের রাজস্বের কোন ঘাটতি হবেনা।এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।আপনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, আপনিই পারেন জাতীয়করণ ঘোষণা দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে।আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক সৈনিক,আপনার পাশে আছি ও থাকবো ইনশাললাহ।
মোঃ নজরুল ইসলাম রনি
সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও মুখপাত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।