অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদে প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ দিন
মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন ||
এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ নেই। বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসার শীর্ষ এ পদ দুটির গুরুত্ব অনেক। একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি অবনতি, ভালো মন্দ অনেকটাই নির্ভর করে এ পদ দুটিতে সমাসীন ব্যক্তিদ্বয়ের যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর। তাই এ পদ দুটিতে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তির বিকল্প নেই।
বর্তমান নীতিমালায় সহকারী অধ্যাপকদের উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। অথচ সহকারী অধ্যাপকের চেয়ে একজন প্রভাষক অনেক অভিজ্ঞ ও দক্ষ হতে পারে। ৫:২ অনুপাত প্রথার কারনে কোন কোন প্রভাষক ৮ বছর পর হয়ে যান সহকারী অধ্যাপক আর কেউ থেকে যান আজীবন প্রভাষক। সুতরাং যে প্রভাষক অনুপাত প্রথার কারনে সহকারী অধ্যাপক হলেন, তার বিশেষ কৃতিত্ব কি আছে? অনুপাত প্রথা না থেকে পদোন্নতিটা যদি চাকরির একটা নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হতো তাহলে সকল প্রভাষকই এক সসময় সহকারী অধ্যাপক হতো। আর তখন সকল প্রভাষকই উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারতো।
যেহেতু সহকারী অধ্যাপক বিশেষ কোন পরীক্ষা বা যোগ্যতার বলে হন না সেহেতু তিনি যদি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করার সুযোগ পান, তাহলে অন্যান্য প্রভাষকরা কেন আবেদন করতে পারবেননা? এ প্রশ্ন সাধারন প্রভাষকদের।
একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যাপক অংশগ্রহণ ও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমান নীতিমালায় অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদে প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারীর সংখ্যা কম থাকবে। যারফলে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবেনা। যোগ্য প্রার্থী সংকটে দীর্ঘ শূণ্যতা বিরাজ করতে পারে অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদ গুলোতে।
তাই অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদ দুটি ব্যাপক অংশগ্রহণ মূলকও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি সম্পর্কে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস,
জিরাইল আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।
বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।