ঐচ্ছিক বদলিতে গণজাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে
মোঃ আবুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি ||
সময়ের তালে তালে দিন পাল্টাচ্ছে। এই দিন পাল্টানোর সাথে সাথে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও পাল্টে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে জাতীয়করণ এবং বদলি নিয়ে জাগ্রত হয়েছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। জাতীয়করণ হলে সব পেয়ে যাব। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শিক্ষক সংগঠন গুলোর মধ্যে নেই ঐক্য। আর বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া জাতীয়করণ আদায় করা সম্ভব নয়। সে বাস্তবতা হয়তো বা ভুলে গেছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংগঠন গুলো। তাই আজ হতাশায় জর্জরিত সাধারণ শিক্ষক বৃন্দ। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে নেতৃবৃন্দের ওপর বিশ্বাস যোগ্যতা ও কমে আসছে সাধারণ শিক্ষকদের। তাইতো সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করে আজ সাধারণ শিক্ষকরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েই বদলির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। গত কিছু দিন পূর্বে বদলির পক্ষে অবস্থান নিয়ে করেছে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা।
মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় সাধারণ শিক্ষকরা পণ করেছে বদলি প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলছে চলবে। বদলি প্রথা চালু করার দাবি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্মারক লিপি সচিব মহোদয়ের নিকট। কাজ চলছে বিভিন্ন দপ্তরে বদলি বিষয়ে আলোচনা এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গণকে বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বদলি প্রথা কেন প্রয়োজন? অনেকে আশ্বাস দিয়েছে বিষয়টা বিবেচনা করা হবে। উপর মহলে আলোচনা করা হবে বদলি প্রথা চালু করার জন্য। বদলি প্রত্যাশি শিক্ষকরা আজ সারা বাংলাদেশে সংগঠিত হচ্ছে। শুরু হয়ে গেছে কমিটি গঠনের কাজ। বদলির পক্ষের শক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। যাঁরা বদলি প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তারাও আজ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। বদলি প্রথা একটি যুগোপযোগী দাবি। যেখানে বদলি প্রথা শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে বদলি প্রথার বিকল্প কিছু হতে পারে না।
আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু করে বন্দী জীবন যাপন থেকে মুক্তি দিবেন।
মোঃ আবুল হোসেন
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা।