বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিই হউক বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল মন্ত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯

মোঃ আবুল হোসেন
মোঃ আবুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি ||
বাশিস (নজরুল) এর উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়করণ আদায়ের লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় সকলে নিমন্ত্রিত। আলোচনার মূখ্য বিষয় সমগ্র বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ আদায় করা। আর সাথে থাকছে সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংগঠন গুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলার পরিকল্পনা। প্রতিটি সংগঠনকে কীভাবে এক প্লাটফর্মে আনা যায় সে বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যেকোন মূলে বাশিস নেতৃবৃন্দ ঐক্যমতে পৌঁছাতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে সব সময়। কোন সংগঠনের একার পক্ষে আন্দোলন করে জাতীয়করণ আদায় করা সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এনে দিতে পারে সেরা সাফল্য। জাতীয়করণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বৃহত্তর আন্দোলন ছাড়া জাতীয়করণ আন্দোলন সফল হবার নয়।

খন্ড খন্ড আন্দোলন করে জাতীয়করণ আদায় করা যাবে না কখনো । জাতীয়করণ আদায়ে প্রয়োজন সকল সংগঠনের মধ্যে বিভাজন ত্যাগ করে বৃহত্তর ঐক্যের পথে এগিয়ে আসা। প্রতিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে তাই জাতীয় স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে ঐক্যের জন্য। আমাদের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের স্বপ্ন যেহেতু সমগ্র বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ আদায় করা। সেহেতু জাতীয়করণ আদায়ের লক্ষ্যে তাই আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছানো একান্ত জরুরি। জাতীয়করণ ছাড়া বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবন যাত্রার মানের কোন পরিবর্তন হবে না। আজ আমরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের বেড়াজালে বন্দী। নেই জীবন যাত্রার মানের স্বাভাবিক পরিবেশ। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে অতিবাহিত করতে হয় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবন। যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থায় সমান সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা আজ অনৈক্যের কারণে পিছিয়ে পড়েছি।

আমাদের মাঝে বিভাজন থাকার কারণে সুবিধা নিচ্ছে তৃতীয় পক্ষ। বুঝানো হচ্ছে জাতীয়করণের বিপক্ষে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হচ্ছে জাতীয়করণ করলে সরকারের লোকসান গুনতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব বুঝে নিয়ে সমগ্র বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করলে সরকারের লাভই হবে। নিজ অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে। কেউ কাউকে আদায় করে দেয় না। বর্তমান সময়ে প্রাইমারি শিক্ষকরা আন্দোলন করে তাদের অধিকার তারা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল একতা থাকার কারণে। আর আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা সফলকাম হইনি শুধু বিভাজন থাকার কারণে। আমাদের মধ্যে নেই একতা। আজ বাস্তবতা উপলব্ধি করে সকলকে জাতীয়কণ আদায়ে দলমত নির্বিশেষে রাজ পথে নামতে হবে।
জাতীয়করণ আজ সমগ্র বাংলাদেশের গণ দাবি। সকল পেশার মানুষ জাতীয়করণের দ্বারা উপকৃত হবে। শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ হবে। অবিভাবক গণ তাদের সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারবে। দেশ হবে সুশিক্ষিত। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। সকল শ্রেণির, সকল পেশার লোকেরা লেখাপড়া করানোর সমান সুযোগ সুবিধা পাবে।

আসুন আমরা ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে অঙ্গীকার করি সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে যাব ঐক্যবদ্ধ ভাবে। নিজেদের মধ্যে আর থাকবে না কোন বিভাজন। দাবি আদায় করব এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করব।

সিনিয়র যুগ্ম -মহাসচিব
বাশিস (কেন্দ্রীয় কমিটি)


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)