ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এনে দিবে জাতীয়করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি ||
একতাই শক্তি, একতাই বল - এ কথাটা আমরা ছাত্রদের শিখাই, কিন্তু আমরা শিক্ষকরা শিক্ষা নেই না। দেশের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে একমত, কিন্তু এক মত নয় মাত্র গুটিকয়েক শিক্ষক নেতা। যদিও তাদের মুখের বুলি জাতীয়করণ। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে দেশের এমপিওভুক্ত ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী।
বর্তমান সরকারের আমকেই বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ করা হবে, এ কথাটি কে কখন কোথায় বলেছেন আমার জানা নেই। তবে এ কথাটি বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। তারা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন, বর্তমান সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাই পারবেন বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ করতে।
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায়ও এনেছেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণও সরবরাহ করেছেন। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও গুনগত মান উন্নয়নের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈপ্লবিক ককর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সহ নানান যুগান্তকারী পদক্ষেপ শিক্ষক মহলে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
বর্তমান সরকার প্রধান, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নানাবিধ দুঃসাহসিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। নিজস্ব অর্থায়নে অত্যন্ত ব্যায় বহুল পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মত একটি গরীব রাষ্ট্রের পক্ষে যা ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু আজ সেটাও দৃশ্যমান বাস্তবতা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের ব্যয় জানতে চেয়েছেন। এখন আমাদের কর্তব্য জাতীয়করণের দাবি ও এর যথাযথ হিসাবটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা। ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনগুলো জাতীয়করয়ণের দাবিতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
জাতীয়করণের মত বিরাট একটা দাবি আদায়ে সকল শিক্ষক সংগঠনের ঐক্যের বিকল্প নেই। । শিক্ষকরা মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে জাতীয়করণের দাবি আদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তাই এই মুহুর্তে প্রয়োজন সকল মতপার্থক্য ভুলে জাতীয়করণের দাবিতে সকল সংগঠন গুলোর এক মঞ্চে আসা।
লেখক:
মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন