নাইজেরিয়ায় মিলেছে করোনার আরো একটি নতুন ধরন
যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া যাওয়ার পর নাইজেরিয়ায় করোনার আরেকটি নতুন ধরন পাওয়া গেছে। আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রধান জন এনকেনগ্যাসং বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে এ ধরনটি ভিন্ন।’ তিনি জানান, নাইজেরিয়ার সিডিসি এবং সে দেশে অবস্থিত আফ্রিকার সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক জিন গবেষণা কেন্দ্র আরও নমুন পরীক্ষা করে দেখবে।
তবে নতুন ধরনটি দ্রুত ছড়ালেও তা রোগীর দেহে আরো বেশি জটিল অবস্থা তৈরি করে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনগুলোর ওপর এই মিউটেশন কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমাদের মনে হয় না।
একটি গবেষণাপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ অক্টোবর নাইজেরিয়ার ওসুন অঙ্গরাজ্যে নতুন এ ধরনটি দুজন রোগীর দেহে শনাক্ত হয়। তবে যুক্তরাজ্যের মতো এ ধরনটিও দ্রুত ছড়ায় এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। নাইজেরিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পি৬৮১এইচ ধরনটি ভূমিকা রাখছে এমন প্রমাণও তাদের কাছে নেই। তবে জিনগত পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নাইজেরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। তাই এ ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করতে নাইজেরিয়া কম সক্ষম।
নাইজেরিয়ায় গত সপ্তাহে সংক্রমণ ৫২ শতাংশ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরনটি সেখানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। নাইজেরিয়ায় এখনো পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশে মোট ২৫ লাখের বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে যা বিশ্বের মোট শনাক্তের ৩.৩ শতাংশ।
যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার মধ্যেই নাইজেরিয়ার এই ধরনটি পাওয়া যাওয়ায় মহামারি পরিস্থিতিতে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ওপর ইতোমধ্যে অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সৌজন্যেঃ দি বাংলাদেশ টুডে