করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির প্রয়োগ নিষিদ্ধ : ডব্লিউএইচও
করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপর আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ রেমডিসেভির ব্যবহার করার বিষয়ে। ওই সময় করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির ব্যবহার সরাসরি নিষিদ্ধ না করলেও এ নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার চূড়ান্তভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের যে হালনাগাদ তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেখান থেকে রেমডিসিভিরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জেনে রাখা ভালো, এটি কোনো ম্যাজিক ওষুধ নয়। এছাড়াও করোনায় মৃত্যু কম করার ক্ষেত্রেও এর কোনো ভূমিকা নেই। যে সকল রোগীর শরীরে খুব কম উপসর্গ আছে তাদের শরীরে যেমন এই ওষুধ কাজ দেয়না ঠিক তেমনি বেশি দেরিতে এটি প্রয়োগ করলেও কোনো কাজ হয় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ইতোমধ্যে এই রেমডিসেভির কে করোনা চিকিৎসার ওষুধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আর ওই ওষুধ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে না।
বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশে করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ, এই ওষুধ করোনা সারাতে পারে, গবেষণায় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া মৃত্যুর হার হ্রাস করার ব্যাপারেও রেমডিসিভির কোনো ভূমিকা রাখে না।
বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে শুরু থেকেই। ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে রেমডিসিভির নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। এমনকি ভিন্ন নামে (জেনেরিক) নতুন করে ওষুধটির উৎপাদনও শুরু হয় দেশটিতে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নিষেধাজ্ঞার আগেই ভারতের সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স রেমডিসিভিরের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে আসছিল।
সূত্রঃ বাংলাদেশ টুডে