সুন্দরবনের ভারতের অংশে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘যশ’
২০২০ সালে করোনা লকডাউন চলাকালীন বাংলাদেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পড়েছিল আমফান ঘূর্ণিঝড়। কলকাতাসহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় লকডাউন শুরু হওয়ার পর ফের ঝড়ের ভ্রূকুটি।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে থেকে ২৫ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে। তারপর তা ঘুরে যেতে পারে বাংলাদেশের দিকে। খবর ডয়চে ভেলের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হচ্ছে নতুন এই ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশ যা শক্তি সঞ্চয় করছে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার উপর পড়তে শুরু করেছে। জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে এই ঘূর্ণাবর্ত ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে। আমফানের থেকেও বড় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে।
আয়লা ঝড়ে কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছিল সুন্দরবন। গত বছর আমফানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আমফানের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। লকডাউনে কাজ গেছে, ঝড়ে ঘর। গত এক বছরে করোনার প্রকোপে সকলে নতুন করে ঘর বানিয়ে উঠতে পারেননি। একই সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ঝড় হলে বিপুল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসনও।
গত দুই দিন ভারতের পশ্চিমপ্রান্ত ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলবর্তী মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় তাউতে। সোমবার গুজরাটে ঝড়ের দাপটে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮০ জন ওএনজেসির কর্মী নিখোঁজ। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে ১২ জনের মৃত্যু দমন এবং দিউয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেখানে যাচ্ছেন।