English বানান তো দূরের কথা নিজের নামই তো ভুলে যাওয়ার কথা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীরর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সংক্রান্ত একটি খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। জানি না খবরের সত্যটা কতটুকু। যদি খবর সত্য ধরে নিই তবে এ দায় কার? প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, সরকারের না মন্ত্রণালয়ের। এ দায় যে কারো হোক না কেন তবে কোনভাবেই তা শিক্ষকদের হতে পারে না।
বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। আর সেখানে যদি কোন মন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত হয় তবে English বানান তো দূরের কথা নিজের নামই তো ভুলে যাওয়ার কথা।
আর একজন মন্ত্রীই বা কেন কোন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের পরীক্ষা নেবেন? এটা কি অশোভনীয় নয়? আপনি কি কখনো শুনেছেন যে কোন স্বরাষ্টমন্ত্রী কোন থানায় গিয়ে কোন পুলিশ কনস্টেবলেরর পরীক্ষা নিয়েছে? আপনি কোন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কোন হাসপাতালে গিয়ে কেন ডাক্তারের পরীক্ষা নেওয়ার কথা শুনেছেন কি? আমি কোন দিন শুনিনি।
আপনি টক জাতের আটির আম গাছ লাগিয়ে ন্যাংড়া কিংবা খিরসাপাত আম পেতে চাইবেন তা কি কখনো হয়?
শিক্ষার মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্টে ৮৮ ভাগ শিক্ষক কোটায় নিয়োগ দেবেন। আপনি বিনা পয়সায় কিংবা স্বল্প পয়সার শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাবেন।
আপনি এখান থেকে ভালো ফল আশা করেন কি করে?
স্বাধীনতার পর কিংবা পাকিস্থান আমল থেকেই বাংলাদেশের শিক্ষা খ্যাত সবচেয়ে অবহেলিত খ্যাত। কখনো কখনো এ খ্যাত নিয়ে হাম্বিতাম্বি করা হলেও সত্যিকার অর্থে শিক্ষাকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যা এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র দেখলে সহজেই বুঝা যায়।
এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেন ডাক্তার, প্রকৌশলী হতে চায়, কেন তারা শিক্ষক হতে চায় তা কিন্তু আমরা সবাই বুঝি। আমরা বুঝেও মেধাবীদের এ পেশায় আসতে আগ্রহী করে তুলতে চাই না।
যারা শিক্ষকতা পেশায় আসে তারা একান্ত দায়ে পড়েই আসে। কে চায় শিক্ষকতার মত একটা ফকিন্নি পেশায় এসে জীবন যৌবন শেষ করে দিতে?
লেখকঃ সালমা জাহান