কর্মরত আইসিটি প্রদর্শকদের এমপিওভুক্তির অফিস আদেশ জারি করুন
মহান স্বাধীনতার মাধ্যমে অভ্যুদয় হয় বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারি বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে বেসরকারি বিভিন্ন কলেজে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয় চালু হয় (বিদ্যুৎ সংযোগ, ল্যাব, বিষয় অনুমোদন)। পরবর্তীতে সরকার কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয় কে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয় নামে সংশোধন করে। বিভিন্ন সময় কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ের পাঠদানের জন্য দেশের কলেজ গুলো প্রভাষক ও প্রদর্শক পদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। (সূত্রঃ জনবল কাঠামো শিক্ষাঃ মন্ত্রণালয়ের রেজুলিউশন নং শাঃ ৪/৩ বি-৫/৮১/১৪২ তারিখ- ১৭/১১/৮১ইং অনুযায়ী বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষ্ট্যাফিং প্যাটার্ন ঘোষণা করে। সে মোতাবেক প্রদর্শকগণ নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। নিয়োগ বিধিমালা যা গত ২০/০৩/২০০৫খ্রি. পর্যন্ত বহাল ছিল)।
বর্তমানে বেশিরভাগ প্রভাষক দীর্ঘ ভোগান্তির পর এমপিওভুক্ত ও ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ পূর্বে মাউশি (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) মহাপরিচালকের মৌখিক ছাড়ে বেশিরভাগ প্রদর্শক এমপিওভুক্ত হয় এবং হঠাৎ ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে মৌখিক ছাড় বন্ধ হওয়াতে বিধিমোতাবেক ২০/০৩/২০০৫ তারিখের পূর্বে নিয়োগকৃত সে সময়কার কয়েকশত প্রদর্শক এখনও এমপিওভুক্তি হতে পারেনি।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (কম্পিউটার শিক্ষা) বিষয়কে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। বিষয়টি পাঠদানের দায়িত্বপান নিয়োগ প্রাপ্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কর্মরত কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ক প্রভাষক ও প্রদর্শক (এমপিও/নন-এমপিও) পদের শিক্ষকগণ। এরাই আবশ্যিক বিষয় আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক।বর্তমান ১২/০৬/২০১৮খ্রি. জারিকৃত “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮” অনুযায়ী প্রদর্শক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (কম্পিউটার শিক্ষা) পদটি প্যাটার্নভুক্ত। ফলে বর্তমানে এমপিওভুক্তির সরকারি অফিস আদেশেন অপেক্ষায় আছেন।
১৪/১৫ বছর যাবত মানবেতর জীবনযাপনকারী দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজে গত ২০মার্চ’২০০৫ তারিখের পূর্ব হতে নিয়োগ ও যোগদানকৃত সকল নন-এমপিও প্রদর্শক আইসিটি (কম্পিউটার শিক্ষা) শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ হতে অফিস আদেশ জারি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মর্জি হয়।
লেখক :
মো. আব্দুস সালাম।
প্রদর্শক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি),
জয়লা জুয়ান ডিগ্রি কলেজ, শেরপুর, বগুড়া।
( মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয় )