ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হবে বেসরকারি শিক্ষক বদলি
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী বদলির প্রক্রিয়া সহজ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সব কাজ অনলাইনে করা হবে। এ লক্ষ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ারকরণের মতোই একটা সফটওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ ও যাচাই করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বদলির নীতিমালা করতে আরও বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩ এপিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন সংক্রান্ত’ সভায় এমনটাই আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি) জাবেদ আহমেদ।সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। সফটওয়্যার ভিত্তিক বদলি প্রক্রিয়াকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবেদন গ্রহণ ও বদলির আদেশ এবং যাবতীয় তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। এ সফটওয়্যারে শিক্ষকরা অনলাইনে তাদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে বদলির আবেদন করবেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম তারা দিতে পারবেন। বছরের বিশেষ একটি সময়ে সফটওয়্যারের মাধ্যমে এসব বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, বদলির সফটওয়্যারের দায়িত্ব মাউশি অধিদপ্তরের হাতে থাকবে না-কি এনটিআরসিএতে তা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, বদলিতে কারও হস্তক্ষেপ যাতে না থাকে সে জন্যই সফটওয়্যার ভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তালিকা সফটওয়্যারে দিয়ে দেওয়া হবে। এরপর বদলি হতে ইচ্ছুক শিক্ষকদের আবেদন অনলাইনে নেওয়া হবে। কোনো শূন্য পদের বিপরীতে একাধিক আবেদনকারী হলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলির নোটিশ তৈরি হয়ে যাবে।
বেসরকারি শিক্ষকদের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানে বদলির বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মাউশিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ৩ এপ্রিলের সভায় নীতিমালার প্রস্তাবিত খসড়া পেশ করে মাউশি অধিদপ্তর। বদলির ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নিজ জেলায় ফিরতে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে একই প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছর না থাকলে কেউ বদলির যোগ্য হবেন নাশ সৌজন্যেঃ দৈনিক শিক্ষা