`মুছে যাক গ্লানি, ঘুঁচে যাক জরা`
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুঁচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’- সকল না পাওয়ার বেদনাকে ধুয়ে মুছে, আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে অগ্নিস্নানে শুচি করে তুলতেই আবার এসেছে পহেলা বৈশাখ।শনিবার বছরের শেষ দিনের রক্তিম সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে গেছে বাংলা বছর ১৪২৫। রোববার ভোরের সূর্য স্বাগত জানালো বাংলা নববর্ষ ১৪২৬’কে। নতুন বছরের প্রথম দিনটি চিরায়ত আনন্দ-উদ্দীপনা আর বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে হাজির হবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
বছরের এ প্রথম দিনে গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকবে কোটি মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা। ঢাকায় রমনার বটমূল থেকে উৎসবের শুরু হয়ে শাহবাগে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পাড়ায়-মহল্লায়, বাসা-বাড়িতে, পার্কে-রাস্তায় সবখানে শোনা যাবে একই সুর; সবার গলায় একই আহবান- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’
১৪২৬ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা একসঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠেন ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো।’
১৪২৬ বঙ্গাব্দ। রোববার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রাগ ললিতের মধ্য দিয়ে সূর্যকে আহ্বান করা হয়। অসীম কুমারের পরিবেশনায় এই রাগ ললিত চলে প্রায় ১৩ মিনিট।
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3819335545544071"
data-ad-slot="1400761447">
রাগ ললিতের পর সম্মিলিতভাবে গাওয়া হয় ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে তোমার বিশ্বের সভাতে/ আজি এ মঙ্গলপ্রভাতে…’ গানটি। এরপর ‘আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি এ আপনারই আবরণ!/খুলে দেখ দ্বার, অন্তরে তার আনন্দনিকেত…’সহ দুটি পরপর একক সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর আবার সম্মিলিত সংগীত। এভাবে চলতে থাকে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। আবৃত্তি করা হয় কবিতা।
নববর্ষকে বরণ করতে ১৯৭৪ সাল থেকে ছায়ানটে এই আয়োজন চলছে। প্রতি বছরের মতো একটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অনাচারের বিরুদ্ধে জাগ্রত হোক শুভবোধ’।
কবিতা আবৃত্তি, একক সংগীত, জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ছায়ানটের এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান দেখতে সকাল থেকে ভিড় করতে থাকেন দর্শনার্থীরা।