যেসব খাবার একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে

শিক্ষা প্রতিদিন ডেস্ক
শিক্ষা প্রতিদিন ডেস্ক,
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

পছন্দের খাবার সামনে এলে লোভ সামলে রাখা দায় হয়ে পড়ে ভোজনরসিকদের। সব পদ থেকেই একটু করে চেখে দেখতে মনে চায়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, কিছু খাবার আছে যা একসঙ্গে খেলে শরীরের নানাবিধ ক্ষতি হয়। তাতে হজমে সমস্যা তো বটেই এমনকি, দিনের পর দিন একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। না জেনে এমন খাবার আপনিও খাচ্ছেন না তো? চলুন দেখে নেই।

---

মাংস ও দুধ: এই খাবার দুটি একসঙ্গে না খাওয়ার কথা অনেকে জানলেও সবসময় তা মেনে চলা হয় না। মাংসে প্রচুর প্রোটিন থাকে। এদিকে দুধও সুষম আহার। তাই এই দুই খাবার পরপর খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক সময়ের জন্য প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। একাধিক পুষ্টি উপাদানের মধ্যে বিশেষ কোনো ধরনের উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি শরীরের জন্য ভালো নয়।
তরমুজ ও পানি: তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। তাই তরমুজের পরে পানি পান করলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড, হজম সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকে ভুগলে পানির এই মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি শরীরের বেশি ক্ষতি করে।

---

চা ও দই: এই দুই প্রকার খাবারেই অম্ল রয়েছে। একসঙ্গে বা সামান্য বিরতি দিয়ে পরপর এই ধরনের খাবার খাওয়া মানে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এতে শরীরে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। অম্লতার অসুখ আগে থেকে থাকলে আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।ঠান্ডা পানীয় ও পুদিনা: শরীরের ভিতর এই দুটি খাবার তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এতে হজমের গোলমালতো বটেই, বিক্রিয়ায় ফলে সায়ানাইডও উৎপন্ন হতে পারে। তাই এই দুটি খাবার একেবারেই একসঙ্গে খাবেন না।
দুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক: কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা শরীরে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজের শোষণকে প্রতিরোধ করে। তাই অ্যান্টবায়োটিক চলাকালীন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন ওই ওষুধ চলাকালীন দুধ খাওয়ায় বিধিনিষেধ আছে কি না।

---

আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে যে যে ক্ষতি হয়

দুধ ও লেবু: দুধ ও লেবু একসঙ্গে মেশালে দুধ কেটে যায়। পেটের ভিতরেও একই রকম হয়। অনেকে ভাবেন পেটে পাচক রসে লেবুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসিডের ভাগ থাকে। কিন্তু মনে রাখবেন, শরীর সেসব রসের সাহায্যে পরিপাকক্রিয়ায় অংশ নিতে অভ্যস্ত। বাইরে থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড যোগ হলে এই পদ্ধতি বাধাপ্রাপ্ত হয়।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)