শব-ই-বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়
যে মাসে বান্দার আমল ও ইবাদত বহুলাংশে বৃদ্ধি হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয় শাবান মাস এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। এ মাসটিকে দয়াল নবী নিজের মাস বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রজব আল্লাহ তাআলার মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান মাস আমার উম্মতের মাস।’ আধ্যাত্মিক সাধক হযরত জুননুন মিসরী (র) বলেছেন, রজব মাস পাপ-পঙ্কিলতা থেকে আত্মরক্ষার মাস, শাবান ইবাদতের মাস এবং রমজান মাহাত্ম্য অবলোকনের মাস। কালের পরিক্রমায় আমাদের মাঝে সেই অন্যতম ফজিলতপূর্ণ শাবানের ১৫তম রাত পবিত্র ‘শব-ই-বরাত’ ফিরে এলো। একে লাইলাতুল বরাত; লাইলাতুম মুবারাকাও বলা হয়। মুসলমানরা মুক্তি ও কল্যাণের রজনী হিসেবেই একে গ্রহণ করে। অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজানের পূর্বের মাস হওয়ার কারণে শাবান মাসকে বলা হয় রমজান শরীফের প্রস্তুতির মাস। কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানুষের অংশগ্রহণের পূর্বে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সময় অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অনুরূপভাবে মুমিন ব্যক্তিকে পবিত্র রমজান মাসে খোদায়ী শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার জন্য যে কঠোর সাধনা প্রয়োজন তার পূর্ব প্রস্তুতিস্বরূপ এই শাবান মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে। হাদিস শরীফে দেখা যায় : নবী করীম (সা) শাবানের পূর্বের মাস ‘রজব’ এলেই দোয়া পড়তেন : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা অ-শাবানা অ-বাল্লিগনা ফি রমাদান ‘হে আল্লাহ তুমি রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দাও এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দাও।’
শব-ই-বরাত হচ্ছে ইসলামের বিশেষ রাতসমূহের মধ্যে একটি রাত, যা শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে হয়ে থাকে। শব-ই-বরাতের অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত। ‘শব’ ফার্সী শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে রাত। আর বরাত আরবী শব্দ, যা উর্দু, ফার্সী, বাংলা ইত্যাদি সব ভাষাতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। যার অর্থ ‘মুক্তি’ ও ‘নাজাত’ ইত্যাদি। শব-ই-বরাতকে হাদিসের ভাষায় ‘লাইলাতুন মিন নিসফি শাবান’ বলা হয়। এতদাঞ্চলে এ রাতটির নাম লাইলাতুল বরাত বা শব-ই-বরাত হিসেবে খ্যাত।
শব-ই-বরাত মুসলমানদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি রাত। মুসলিম মিল্লাত শাবান মাসের পনেরো তারিখ রাতটিকে নফল ইবাদত করা, কোরান তেলাওয়াত করা, যিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ, মিলাদ পাঠ, কবর জিয়ারত ও দান-সাদকা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে কাটায়। মোট কথা, এই রাতে জাগ্রত থেকে তারা ইবাদত করে। দিনের বেলা নফল রোজা রাখে, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাসস্থানে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে, তাবারুক বিতরণ করে। সব মিলিয়ে এই রাতটিতে যেন এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করে। কোরান-সুন্নায় শব-ই-বরাতের দালিলিক ভিত্তি রয়েছে এবং শব-ই-বরাতে ইবাদত-বন্দেগি আর দিনের বেলায় রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিসও বর্ণিত হয়েছে।
কোরান-সুন্নাহর আলোকে শব-ই-বরাত
শাবান মাসের মধ্যরাত কোরানের পরিভাষায় লাইলাতুম মুবারাকা নামে পরিচিত। সূরা দুখানের শুরুতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হা-মীম, এ স্পষ্ট কিতাবের শপথ। নিশ্চয় আমি একে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে বণ্টন করে দেয়া হয় প্রত্যেক হিকমতের কাজ।’ হযরত ইকরামা (রহ.) ও অন্যান্য মুফাসসির বলেন, ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ দ্বারা শব-ই-বরাতকে বোঝানো হয়েছে। কুরতুবী বলেন, এ রাতের ৪টি নাম আছে:
ক. লাইলাতুল বারাআত,
খ. লাইলাতুম মুবারাকা,
গ. লাইলাতুস সাক্কি,
ঘ. লাইলাতুল কাদরি।
এ রাতে সারা বছরের বাজেট, জীবিত ও মৃতদের তালিকা এবং হাজীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উক্ত সংখ্যা থেকে একজনও বাড়ে না বা কমে না। মুফাসসিরে কোরান শব-ই-বরাতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের রাত আর শব-ই-কদরকে বাস্তবায়নের রাত বলেছেন।
অতএব বলা যেতে পারে, আল্লাহ তাআলা শব-ই-বরাতে কোরান মাজীদ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কদরের রাতে বাস্তবায়ন করেছেন। যেহেতু এ রাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুনিয়াতে তাই আগে সিদ্ধান্ত তারপর বাস্তবায়ন। অথবা আল্লাহ তাআলা শব-ই-বরাতে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং শব-ই-কদরের রাতে তা সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করেন।
লাইলাতুল বরাতের মর্যাদা ও অস্তিত্ব হাদিস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) থেকে বর্ণিত, শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে মহান আল্লাহ রহমতের ভার নিয়ে তার সকল সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং রাতে মুশরিক অথবা হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। (তবারানী, আল আওসাত)
বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগী আর দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাদিসে পাকে হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যখন শাবান মাসের মধ্য রাত্রির আগমন ঘটে তখন তোমরা সেই রাতে জাগরণ থেকে আল্লাহর ইবাদত কর এবং দিনের বেলায় রোজা পালন কর। কেননা, মহান আল্লাহ সেদিন সূর্যাস্তের পর প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী কি আছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোন রিজিক তালাশকারী ব্যক্তি কি আছে? আজ আমি তাকে রিজিক দেব। কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আজ আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দেব। এভাবে ভোর হওয়া পর্যন্ত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা অব্যাহত থাকে। (সুনানে ইবনু মাজাহ)
অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা) মহানবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘হে আয়েশা! শাবান মাসের মধ্য রাতের মর্যাদা ও বুজুর্গী সম্পর্কে তুমি কী জানো?’ হযরত আয়েশা (রা) বললেন, ওহে আল্লাহর রাসূল (সা) শাবান মাসের মধ্য রাতের কী মর্যাদা রয়েছে? জবাবে রাসূল (সা) বলেন, আগামী এক বছরে কতজন বনী আদম ভূমিষ্ট হবে এবং কতজন মারা যাবেন তা এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে তাদের আমল আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের রিজিক অবতীর্ণ কিংবা নির্ধারণ করা হয়। অতঃপর হযরত আয়েশা (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ‘আল্লাহর রহমত ছাড়া কারও পক্ষে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়? রাসূল (সা) বললেন, মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত ও একান্ত অনুগ্রহ ছাড়া কারও পক্ষে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। এ কথাটি রাসূল (সা) তিনবার বললেন। হযরত আয়েশা (রা) বললেন, ওহে আল্লাহর রাসূল (সা) আপনিও কি আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ ছাড়া জান্নাতে যেতে পারবেন না। অতঃপর রাসূল (সা) মাথার ওপরে হাত রেখে বললেন, আমিও অনুরূপ আল্লাহর রহমত ও বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া জান্নাতে যেতে পারব না। তবে আল্লাহর রহমত আমাকে বেষ্টন করবে। (বায়হাকী, আদ দাওয়াতুল কাবীর ও মিশকাত)
শব-ই-বরাতের ফজিলত
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, ‘শাবান মাসের রোজা আমার নিকট অন্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। যখন তোমাদের নিকট শাবানের রাত (শব-ই-বরাত) উপস্থিত হবে তখন তোমরা সেই রাতে জাগ্রত থাক এবং দিনের বেলা রোজা রাখ। কারণ এ রাতে মহান আল্লাহ সূর্যাস্তের পর থেকে ফজর পর্যন্ত দুনিয়ার আসমানে তাশরীফ আনেন এবং তিনি ঘোষণা করেন, আছে কি এমন কোন ব্যক্তি যে তার গুনাহ মাফির জন্য আমার নিকট প্রার্থনা করবে? আমি তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেব। আছে কি এমন কোন রিজিক প্রার্থনাকারী, যে আমার নিকট রিজিক প্রার্থনা করবে? আমি তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেব। আছে কি এমন কোন বিপদগ্রস্ত, যে আমার নিকট বিপদ থেকে মুক্তি চাইবে? আমি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করব। এভাবে পুরোরাত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা হতে থাকে এবং বান্দাদের ওপর রহমত বৃষ্টির ন্যায় নাজিল হতে থাকে।
এক হাদিসে রয়েছে, মুহাম্মাদ ইবনে আলী (আ) বর্ণনা করেছেন, এই রাত শব-ই-কদরের পর সর্বোত্তম রাত। এই রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের নিজ করুণায় ক্ষমা করেন। তিনি আরও বলেছেন, এই রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা কর। কেননা, আল্লাহ তাঁর পবিত্র নামের শপথ করে বলেছেন, তিনি তাঁর কোন বান্দাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। তবে শর্ত হলো ঐ বান্দা পবিত্র এই রাতে যদি কোন গুনাহ না করে।
মহানবী (সা) শব-ই-বরাতের রাতে কবর জিয়ারত করেছেন। যেমনটি হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রাতে মহানবীকে (সা) বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম। খুঁজতে খুঁজতে দেখি তিনি জান্নাতুল বাকীতে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল (আ) এসে বলেছেন, আজ রাত হলো লাইলাতুম মিন নিসফি শাবান (শব-ই-বরাত)। এ রাতে আল্লাহ তাআলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসীকে মুক্তি দেবেন। এমনকি বনী কালব বংশের বকরীগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও। একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, বনী কালব গোত্র ৪০ হাজার বকরী ও মেষ পালত।
শব-ই-বরাতের নফল নামাজ
শব-ই-বরাতে মসজিদে অবস্থান করে নফল নামাজে কাটিয়ে দেয়া অত্যন্ত ফজিলতের কাজ। নফল নামাজের কোন সীমা নেই। যার যত ইচ্ছে তত নফল নামাজ পড়তে পারে। শাবানের প্রথম তারিখ থেকেই মূলত নফল নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। নবী করীম (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রথম তারিখ রাতে বারো রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে বারো হাজার শহীদের মর্যাদা দান করবেন। গুনাহ থেকে এমনভাবে তাকে পবিত্র করা হবে, যেন সবেমাত্র মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং ৮০ দিন পর্যন্ত তার আমলনামায় কোন গুনাহ লিপিবদ্ধ হবে না। এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হুজুর আকরাম (সা) বলেছেন, আমার সৌভাগ্যবান উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি দশ রাকাত নফল নামাজ প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর এগারোবার সূরা ইখলাসের মাধ্যমে আদায় করবে, তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে এবং তার হায়াতে বরকত নসীব হবে। (নুজহাতুল মাজালিস)
অত্যধিক বরকত লাভের জন্য আওলিয়ায়ে কেরাম ও বুজুর্গানে দ্বীন ১০০ রাকাত নফল নামাজ দুই রাকাত করে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করে আদায় করতেন। হযরত হাসান বসরী (র) বলেন, আমি ৩০ জন সাহাবার বর্ণনা রেওয়ায়েত করছি, যে এ রাতে উপরোক্ত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তাআলা সে ব্যক্তির দিকে সত্তরবার দৃষ্টি দেবেন এবং প্রত্যেকটি দৃষ্টির সময় সত্তরটি অভাব মোচন করে দেবেন। এর মধ্যে নিম্নতম অভাব হলো কৃত অপরাধ মাফ করে দেয়া। (গুনিয়াতুত ত্বালেবীন)
শব-ই-বরাত শুধু ইবাদতের রাত। আমরা যেসব ইবাদত করতে পারি তা হলো: ফরজ নামাজসমূহ জামায়াতসহকারে আদায় করা; বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা; কোরান তিলাওয়াত করা; সালাতুত তাসবীহ নামাজ পড়া; তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা; নবীজীর ওপর দরুদ শরীফ বেশি বেশি করে পড়া; পীর-বুজুর্গ-দরবেশও আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করা; বেশি করে গুনাহের তওবা করা; যিকির-আজকার, তাসবীহ তাহলীল পড়া; দান-সাদকা করা; ইয়াতিম-অসহায় মানুষকে খাবার দেয়া; মিলাদ-মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা; দেশের, দশের ও নিজের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ কাজগুলো বর্জন করা উচিত। এর মধ্যে পটকা ফোটানো, আতশবাজি, বোমাবাজি, গোলাবারুদ ইত্যাদি ফোটানো, গানবাজনার আসর বসানো ও মদ-জুয়ার আসর জমানো ইত্যাদি কুসংস্কারপূর্ণ ও গুনাহের কাজ থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। একই সঙ্গে ইবাদত না করে অযথা ঘোরাফেরা গালগল্প করে মূল্যবান সময় নষ্ট করা কোনক্রমেই ঠিক হবে না। তবে হালাল খাবার সেটা যে খাবারই হোক না কেন তা রান্না করা, নিজেরা খাওয়া ও অপরকে খাওয়ানো সবই অত্যধিক সওয়াবের কাজ।
হালাল খাবার অন্য সময়ে যদি বৈধ হয়, তাহলে শব-ই-বরাতের মতো পবিত্রতম রাতে বৈধ না হয়ে পারে না। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী সওয়াবের আশায় এই রাতে ইবাদতরত থাকতে হবে। সকলের উদ্দেশ্য থাকবে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
মোঃ মহসীন উদ্দিন,
সিনিয়র শিক্ষক,
স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজ,
শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।