অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি
শুধু চাঁদার টাকার হিসেব নয় অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের গাড়ি, জালানি ও ড্রাইভার ব্যবহার করে সারা দেশে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভা ও পারিবারিক কাজে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেছে তার হিসেবও দিতে হবে।অভিনন্দন ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতি বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের অার্থিক হিসাব চাওয়ার জন্য।ইতিমধ্যে সারা দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষক তথা জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে অবসর ও কল্যানের সদস্য সচিবদ্বয়ের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের সন্দেহ দীর্ঘদিন উক্ত দুজন সম্মানীত সদস্য সচিব একই পদে বহাল থাকার সুযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৫% ইনক্রিমেন্ট ও ২০% বৈশাখী ভাতা প্রদান করার গৌরব ও অর্জন ধুলিস্যাত করার জন্য ৪% কর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।দীর্ঘদিন একই পদে থাকার ফলে নামধারী স্বঘোষিত কিছু শিক্ষক বা সংগঠনের সাথে মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের খ্যাতি নষ্ট করার পায়তারা করছে।গভীর তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এ ব্যাপারে মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শিক্ষক নামধারী কিছু নেতা (যাদের সাথে সাধারণ শিক্ষকদের কোন সমর্থন নেই) নিয়মিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করে শিক্ষা প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।তারা সরকারের ভাল চায় না।তারা শিক্ষকদের বিভিন্ন ক্ষতি, একতরফা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের সুনাম নষ্ট ও শিক্ষকদের সরকারের মুখোমুখি দাড় করাতে চায়, আন্দোলনের দিকেউস্কে দিতে চায়।
উক্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অর্জিত সুনাম রক্ষা ও সুনাম বৃদ্ধির লক্ষে শিক্ষা প্রশাসনের অবসর ও কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তাদের রদবদল করার জন্য মাননীয় সরকারকে বিনীত অনুরোধ করছি। আশা করি মাদার অব হিউমানিটি,গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।শিক্ষা, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, দেশ, জাতি তথা সর্বস্তর জন উপকৃত হবেন।
শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ,শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।
অনুরোধক্রমে,
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক(ইংরেজী)
ও
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(নজরুল)
কেন্দ্রীয় কমিটি।