রোজা রাখা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে ফেসবুকে মনিকা হাসানের স্ট্যাটাস

আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান,
প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ | আপডেট: ১০:১৩ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

ছবিঃ ফেসবুক হতে সংগৃহীত
মনিকা হাসান নামের এক ফেসবুক আইডিতে ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি রোজাকে নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি তার প্রোফাইলে করা পোস্টে বলেন,
“রোজা রাখা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর, রোজাকে বয়কট করুন ” তাহার প্রোফাইল লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100010077603044

শিক্ষা প্রতিদিন ডট কম এর পাঠকদের জন্য ফেসবুকে মনিকা হাসান নামের প্রোফাইলে করা পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলঃ

রোজা রাখা বা দীর্ঘ একটা সময় না খেয়ে থেকে তারপরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে খাওয়া এই জাতীয় কর্মকান্ডের কি আদ্য কোন ভালো দিক আছে যা উল্লেখ করা যায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে মেডিকেল সায়েন্স বলে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকা অত্যান্ত ক্ষতিকর। এই ক্ষতির বিষয়টি আসলে Chronic Diseaseযেটার কারণ সাথে সাথে বা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা যাবে এমন নয় এটা ধীরে ধীরে মানুষের সুস্থ স্বাভাবিক শরীরকে অসুস্থ করে ফেলে।আপনি ফরমালিনের সাথে এই না খেয়ে থাকা বা রোজাকে মিলিয়ে দেখতে পারেন। ফরমালিন নামক বিষ যেমন মানুষের শরীরে সাথে সাথেই প্রভাব ফেলেনা সেটা আস্তে আস্তে মানুষের শরীরে জমা হতে হতে একটা পর্যায়ে মানুষের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে রোজা রাখা টাও ঠিক একই ভাবে কাজ করে মানুষের স্বাস্থ ঝুকির জন্য।

মূলত Chronic Disease এ মানুষ সাথে সাথেই মারা যায় না। যেমন যারা বাংলাদেশে প্রস্তুত করা মশার কয়েকগুলো নিয়োমিত ব্যবহার করে থাকেন তাদের শরীরে ধীরে ধীরে মশার কয়েল প্রস্তুত করার মূল ক্যামিকেল বা মশা মারার জন্য যে ক্যামিকেলটি সেখানে ব্যবহার করা হয় (অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট) নামের একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ সেতা করে থাকে। এর মাত্রা আছে ব্যবহার করার যার নির্দেশ দেওয়া আছে কয়েল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানদেরকে। অনেক সময় দেখা যায় তারা এই ক্যামিকেল মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে মানুষের ক্ষতির পরিমানটাও বেশি হয়। কিছুদিন সিঙ্গাপুরে একটি ল্যাবে পরীক্ষা করে বাংলাদেশে প্রস্তুত ২৪টি ব্রান্ডের মসার কয়েলে মাত্রাতিরিক্ত(অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট) এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিলো।
যায় হোক আমি শুধু একটা উদাহরণ টানার জন্য বিষয়টি এখানে উপস্থাপন করলাম। এই যে (অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট) এটা কিন্তু মানুষের শরীরে তাৎক্ষনিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া তৈরি করেনা, তবে বেশ কয়েক বছর পার হবার পরে সেই ফরমালিন এবং (অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট) মানুষের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে ঠিক আমাদের মুসলিম সংস্কৃতি রোজা রাখা বা ইচ্ছাকৃত কল্পিত কোন ঈশ্বরের নামে আরাধনা করার নামে না খেয়ে থাকার পরেও মানুষের সেই একই ক্ষতি হয়ে থাকে। না খেয়ে থাকার ফলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অসুখ তৈরি হয় এবং দিনের পর দিন সেই অসুখগুলো চলতে থাকে এবং রোগীর শরীর ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে, রোগী অস্বস্তিকর জীবন নিয়ে ধুকে ধুকে মারা যায়।

রোজার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা তা বর্তমান আধুনিক মেডিকেল সায়েন্স সম্পর্কে যাদের নুন্যতম জ্ঞান আছে তারাই বলতে পারে। তবে আজকের দিনে রোজা রাখা যে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর তা জানতে হলে এমবিবিএস ডাক্তার হবার প্রয়োজন পড়েনা। রোজা রাখলে আপনি ১দিনে মারা যাবেন না কিন্তু রোজা না রাখলে যতদিন বাঁচতে পারতেন, রোজা রাখার কারণে ততদিন বাঁচতে পারবেন না। এই বিষয়ে বলতে গেলে মানুষের স্টমাকে খাবারের উপস্থিতি না থাকলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো সহ ব্যাখ্যা করতে হবে কিন্তু আমি এতো বিস্তারিত তথ্যে যাবো না। আমি শুধু আপনাদের এই ম্যাসেজটি দিয়ে রাখলাম রোজা রাখা বা ইচ্ছাকৃত না খেয়ে থাকা বা স্টমাক খালি রাখার ফলাফল মানুষের শরীরের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর তাই এই জাতীয় হাজার হাজার বছর আগের আরব্য সংস্কৃতি গুলো পরিহার করুন আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখুন নিজেও সুস্থ থাকুন। আর রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকার এই প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে আগে জানুন এটা কোন ধর্মীয় রীতি নীতি নয় এটা মুহাম্মদের বানানো একটা নিয়ম যা আজ কোটি কোটি মুসলমানরা যাচাই বাছাই না করে পালন করে নিজের এবং তার পরিবারের ক্ষতিসাধন করছে। এসব সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অপরকে জানুন এবং রোজাকে না বলুন।

শিক্ষা প্রতিদিন ডট কম এর পাঠকদের জন্য ফেসবুকে মনিকা হাসান নামের প্রোফাইলে করা পোস্টের স্ক্রিনশট দেওয়া হলঃ
ফেসবুক থেকে সংগৃহীতঃ রোজা নিয়ে কুটক্তি

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)