অ্যাস্ট্রোলজির নিরীক্ষার ভিত্তিতে জুনের ৫ তারিখেই ঈদ
প্রতিবছর ঈদ এলেই একটা সমস্যার মুখোমুখি হয় গোটা মুসলিম বিশ্ব। সেটা হলো, ঈদের তারিখ নিয়ে বিতর্ক! শুধু বিভিন্ন দেশই নয়, বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী থেকে শুরু করে পরিবারেও বিভক্তি শুরু হয় ঈদের তারিখ নিয়ে। কখনও কখনও আবার মসজিদের ভেতরে এ নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এবারও ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। ঈদের চাঁদ দেখার অপেক্ষা না করে অ্যাস্ট্রোলজির নিরীক্ষার ভিত্তিতে আগে ভাগেই ঈদের দিন তারিখ জানিয়ে দেয়া হচ্ছ
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই অ্যাস্ট্রোলজির নিরীক্ষার ওপর নির্ভর করে থাকে। এসব দেশ আগামী ৪ জুন মঙ্গলবার ঈদ-উল ফিতরের দিন নির্ধারিত করেছে। এসব দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই সৌদি আরবও এখন ঈদের তারিখ নির্ধারণ করে।
সে হিসেবে সৌদি আরবে ৪ জুন ঈদ হবে এমন বিবেচনা করেই সরকারি ছুটিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে বুধবার (৫ জুন) ঈদ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে। এরপরই তারা চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে।
এর আগে, গত ২১ মে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) আগে ভাগেই জানিয়ে দিয়েছে ৪ জুন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাবে। সে হিসেবে আগামী বুধবার এদেশে পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালিত হবে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (বিএএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ যেসব দেশে ৭ মে রোজা শুরু হয়েছে সে সব দেশের আকাশে ৪ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা যাবে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ। সে হিসেবে এবারের রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হবে। তাই আগামী ৫ জুন বুধবার পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালিত হবে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টারের ভাশ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ৩ জুন সোমবার সন্ধ্যায় ২ থেকে ৬ মিনিটের জন্য শাওয়ালের চাঁদ দৃশ্যমান হবে। তবে এ দিন খালি চোখে চাঁদ দেখা সহজ হবে না। আবহাওয়া স্বচ্ছ থাকলে টেলিস্কোপের মাধ্যমে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে হিসেবে, যেসব দেশে ৬ মে রমজান শুরু হয়েছে সেসব দেশে ৩০ দিন রমজান হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সৌজন্যেঃ শিক্ষাবার্তা