সাকিবের সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
দারুণ এক সেঞ্চুরি তুললেন সাকিব আল হাসান। সবচেয়ে বড় কথা বড় লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই রানের গতিতে ভাটা পড়তে দেননি তিনি। আর মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় সুযোগ পেয়ে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন লিটন কুমার দাসও। তুলে নিলেন ঝড়ো এক হাফসেঞ্চুরি। তাতেই উইন্ডিজের ৩২২ রানের লক্ষ্যটাও হয়ে গেল মামুলি। ৫১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিল টাইগাররা। ফলে শেষ চারে আশা ভালোভাবেই জিইয়ে রাখল দলটি।
শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করছেন সাকিব। ৯৯ বলে ১২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এ রান করতে ১৬ টি চার মেরেছেন এ অলরাউন্ডার। তবে আগ্রাসনে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন লিটন। ৬৯ বলে করেছেন ৯৪ রান। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের করা ৩৮তম ওভারের প্রথম তিন বলে টানা তিনটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন লিটন। আর চতুর্থ উইকেট জুটিতে তুলেছেন অবিচ্ছিন্ন ১৭৩ রানের জুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, থমাস ৬*; মাশরাফি ০/৩৭, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, মোস্তাফিজ ৩/৫৯, মিরাজ ০/৫৭, মোসাদ্দেক ০/৩৬, সাকিব ২/৫৪)।
বাংলাদেশ: ৪১.৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ৪৮, সৌম্য ২৯, সাকিব ১২৪*, মুশফিক ১, লিটন ৯৪*; কটরেল ০/৬৫, হোল্ডার ০/৬২, রাসেল ১/৪২, গ্যাব্রিয়েল ০/৭৮, থমাস ১/৫২, গেইল ০/২২)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি
সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস গড়লেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। চলতি বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব। যেটা ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। সেটা এদিন ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব ও লিটন। করেছেন অবিচ্ছিন্ন ১৭৩ রানের জুটি।
লিটনের হাফসেঞ্চুরি
মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়ে তা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন লিটন কুমার দাস। বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ৪৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন তিনি। এ রান করতে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬৪ রান। সাকিব ১০৯ ও লিটন ৫২ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে বাকী ৮৪ বলে ৫৮ রান করতে হবে টাইগারদের।
সাকিবের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
বিশ্বকাপের গত আসরে টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। চলতি বিশ্বকাপে তার সে রেকর্ড স্পর্শ করলেন সাকিব আল হাসান। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন তিনিও। উইকেটে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন সাকিব। সে ধারা ধরে রেখে মাত্র ৮৩ বলে তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। ১৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন এ অলরাউন্ডার। ৪৯ বলে প্রথম পঞ্চাশ রান করেছিলেন তিনি। ওসান থমাসের চার মেরেই সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সাকিব। ক্যারিয়ারে এটা তার নবম সেঞ্চুরি।
৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেয়ে ২৪৮ রান। সাকিব ১০০ ও লিটন ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।
সাকিব-লিটন জুটিতে একশ
বেশ চাপে মুখে সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন লিটন। তবে সে চাপ সামলে দলের ইনিংস মেরামত করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়েচ যাচ্ছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছেন শতরান। ৮২ বলে আসে জুটির শতরান। আর তাতে সাকিবের অবদান ৫১ রান। লিটন করেছেন ৪০ রান। অতিরিক্তর খাত থেকে আসে ১২ রান।
৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩৮ রান। সাকিব ৯৫ ও লিটন ৪০ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে এখনও ৮৪ রান করতে হবে টাইগারদের।
বাংলাদেশের দলীয় দুইশ পার
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে লিটন কুমার দাসের জুটিটি বেশ জমে উঠেছে। দারুণ ব্যাট করছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতে লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। দলীয় দুইশত রান করেছে দলটি। ২৯ ওভারে আসে দলের দুই শত রান। দলের প্রথম শতকটি এসেছিল ১৩.৫ ওভারে।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০০ রান। সাকিব ৮৭ ও লিটন ১৮ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে এখনও ১২২ রান করতে হবে টাইগারদের।
সাকিব-লিটন জুটিতে পঞ্চাশ
দ্রুত তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদ্যে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট লিটন কুমার দাসকে নিয়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সাকিব আল হাসান। দারুণ ব্যাটিং করে এ জুটি এর মধ্যেই স্কোর বোর্ডে পঞ্চাশ রান যোগ করেছে। ৪৯ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ। যাতে সাকিবের অবদান ২৮ রান। লিটন করেন ১৬ রান।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯২ রান। সাকিব ৮১ ও লিটন ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
সাকিবের ফিফটি
দারুণ ছন্দে রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। চারটিতেই করলেন পঞ্চাশোর্ধ রান। যার একটি আবার তিন অঙ্কের ফিগারে নিয়েছেন তিনি। এদিন উইন্ডিজের বিপক্ষেও হাফসেঞ্চুরি করলেন সাকিব। সবচেয়ে বড় কথা রানের গতি সচল রেখেছেন তিনি। মাত্র ৪০ বলে এসেছে তার ফিফটি। এ রান করতে ৭টি চার মেরেছেন এ অলরাউন্ডার।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪১ রান। সাকিব ৫১ ও লিটন ১ রানে ব্যাট করছেন।
টিকলেন না মুশফিক
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তামিম ফিরলেন। টাইগার সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল মুশফিকুর রহিমকে ঘিরে। কিন্তু পারলেন না দলের হাল ধরতে। ওশেন থমাসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেট রক্ষক শেই হোপের হাতে। ৫ বল মোকাবেলা করে ১ রান করেছেন মুশফিক।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেহসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৩ রান। ৪৪ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন লিটন কুমার দাস।
রানআউট হয়ে ফিরলেন তামিম
দারুণ ব্যাটিং করছিলেন তামিম। বাজে সময় ফেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন স্পষ্ট। এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না। শেল্ডন কটরেলের বলটি রক্ষণাত্মক ঢঙে খেলেছিলেন তিনি। ফলোথ্রুতে দ্রুত বল ধরেই উইকেটে ছুঁড়ে দেন কটরেল। রিপ্লেতে দেখা যায় তামিম পৌঁছানোর আগেই উইকেট ভাঙেন এ ক্যারিবিয়ান। ৫৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেছেন তামিম।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২১ রান। ৩৪ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
ছয় হাজারি ক্লাবে সাকিব
আরও একটি মাইলফলকে পৌঁছালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে স্পর্শ করেছেন ছয় হাজার রান। ওশান টমাসকে থার্ড ম্যানে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে সাকিব পৌঁছান ছয় হাজারে। এ ক্লাবে যেতে তার লাগল ২০২ ম্যাচ।
বাংলাদেশের দলীয় শতরান, সাকিব-তামিম জুটিতে পঞ্চাশ
সৌম্যর বিদায়ের পর আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন। আর ব্যাটিংয়ে নেমেই শুরু থেকেই মারমুখী সাকিব আল হাসান। দেশ সেরা এ দুই ব্যাটসম্যান ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে দারুণ এক স্কয়ার কাট করে শুধু দলীয় শতরান আনেননি সাকিব, করেছেন তামিমের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশ রানও। মাত্র ৩৩ বলে আসে এ জুটির পঞ্চাশ রান। আর টাইগারদের দলীয় ১০০ রান এসেছেন ৮৩ বলে। প্রথম পঞ্চাশ তারা করেছিল ৪৯ বলে।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৮ রান। তামিম ৪৬ ও সাকিব ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি
তামিম ইকবাল দেখে শুনে খেললেও রানের গতি বাড়াতে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন সৌম্য সরকার। ৫২ রানের দারুণ জুটিও গড়েছিলেন তামিমের সঙ্গে। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের ভেরতের দিকে রাখা শর্ট বলে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন ক্রিস গেইলের হাতে। অথচ এর আগের বলেই আপার কাট করে দারুণ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ২৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেছেন সৌম্য।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৬ রান। ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের
৩২২ রানের লক্ষ্য। টন্টনের মাঠটা ছোট হলেও কাজটা সহজ নয়। তবে সূচনাটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়েছে টাইগাররা। তামিম ইকবাল দেখে শুনে খেললেও সৌম্য সরকার আগ্রাসী ব্যাটিংই করছেন। প্রথম ৫ ওভার শেষে ৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ। সৌম্য ১৯ ও তামিম ৯ রানে ব্যাট করছেন।
রেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। গত আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। টন্টনের ছোট মাঠ বলেই আশাটা জোরালো মাশরাফির দলের।
উইন্ডিজের সংগ্রহ ৩২১/৮
এক প্রান্ত ধরে ব্যাট করেছেন শেই হোপ। খেলেছেন ৯৬ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস। অন্যপ্রান্তে মারমুখী সতীর্থরা। লুইস ও হেটমায়ার করলেন ঝড়ো ফিফটি। সঙ্গে অধিনায়কের আগ্রাসী ছোট্ট একটি ইনিংস। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ তুলেছে উইন্ডিজ। ৮ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছে দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, থমাস ৬*; মাশরাফি ০/৩৭, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, মোস্তাফিজ ৩/৫৯, মিরাজ ০/৫৭, মোসাদ্দেক ০/৩৬, সাকিব ২/৫৪)।
নার্ভাস নাইন্টিজে হোপকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
প্রথম দুই স্পেল সুবিধা করে উঠতে না পারলেও পরের দারুণ বোলিং করে চলেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। এবার ফিরিয়েছেন শেই হোপকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ সফল এ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন সেঞ্চুরির ঠিক ৪ রান আগে। তার বলে সামনে এগিয়ে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন হোপ। হাই ফুলটস ঠিকভাবে লাগাতে না পারলে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে। ১২১ বলে ৯৬ রান করেছেন হোপ। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন নিজের ইনিংস সাজাতে।
৪৮ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০৫ রান।
বিপজ্জনক হোল্ডারকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই সাকিবকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন জেসন হোল্ডার। পরের বলে চার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের সংগ্রহকে বাড়িয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা নিজেই নিয়েছিলেন অধিনায়ক। তবে তাকে ফিরিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তা বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েছেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ১৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হোল্ডার।
৪৫ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৮ রান। হোপ ব্যাট করছেন ৯১ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ড্যারেন ব্রাভো।
ভয়ঙ্কর রাসেলকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
প্রথম বলেই দারুণভাবে রাসেলকে পরাস্ত করেছিলেন মোস্তাফিজ। আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে পরের বলেই ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যানকে। তার বলে খোঁচা মারতে গিয়ে খেসারৎ দেন রাসেল। রানের খাতা খোলার আগেই ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। একই ওভারে হেটমায়ারকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙ্গেছিলেন কাটার মাস্টার।
৪০ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪৩ রান। ৮২ রানে ব্যাট করেছেন শেই হোপ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
ঝড়ো ফিফটি তুলে হেটমায়ারের বিদায়
উইকেটে নেমেই রানের গতি বারানোর কাজে লেগে যান শিমরন হেটমায়ার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। তবে আরও বড় ক্ষতি করার আগে তাকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বল পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েছেন এ ক্যারিবিয়ান। ২৬ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান তুলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
৪০ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৩ রান। ৮২ রানে ব্যাট করছেন হোপ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আন্দ্রে রাসেল।
হোপ-হেটমায়ার জুটিতে ঝড়ো ফিফটি
রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছেন শেই হোপ। আর উইকেটে নেমেই বিধ্বংসী শিমরন হেটমায়ার। মাত্র ২২ বলেই করেছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। ৩৪ ওভারে যেখানে দলের রান ছিল ২৭৪। সেখানে চার পভার পর ৩৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ হয় ২৩৪ রান। ফলে
৩৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৩৪/৩। হোপ ৭৮ ও হেটমায়ার ৪৬ রানে ব্যাট করছেন।
উইন্ডিজের দলীয় দুই শত রান পার
উইকেটে নেমেই হাত খুলে ব্যাট করছেন হেটমায়ার। আর শেই হোপ তো বরাবরই বাংলাদেশের বিপক্ষে অনন্য। এদিনও তার ঝলক দেখাচ্ছেন। মোস্তাফিজের করা ৩৫তম ওভারে ১৯ রান নিলেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। সাইফউদ্দিনের করা পরের ওভারে নিলেন ১৭ রান। ফলে ৩৫.৪ ওভারে দুইশত রানের কোটা পার করে উইন্ডিজ। প্রথম শতরান তারা করেছিল ২২.৪ ওভারে। অর্থাৎ ঝড়ো ব্যাটিং করে পরের শতরান তুলতে বল খেলেছেন তারা ৭টি।
৩৬ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ২১০/৩। হোপ ৭৪ ও হেটমায়ার ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
পুরানকে ফিরিয়ে সাকিবের দ্বিতীয় আঘাত
লুইসকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের ভয়ঙ্কর জুটিতা ভেঙ্গেছিলেন সাকিব আল হাসানই। এবার নিজের দ্বিতীয় শিকার করেছেন নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে। উইকেটে নেমেই দ্রুত গতিতে রান করার চেষ্টায় ছিলেন পুরান। সাকিবের বলে লংঅন সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন সৌম্য সরকারের হাতে। ১৫৯ রানে পড়ে উইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট। ৩০ বলে ২৫ রান করে আউট হয়েছেন পুরান।
৩৩ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৬ রান। ৫৪ রানে ব্যাট করেছেন শেই হোপ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন শিমরন হেটমায়ার।
শেই হোপের হাফসেঞ্চুরি
শেই হোপের প্রিয় প্রতিপক্ষ সম্ভবত বাংলাদেশই। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা শেষ ছয় ইনিংসের ছয়টিতেই করলেন পঞ্চাশোর্ধ রান। যার তিনটি পরিণত করেছেন সেঞ্চুরিতে। এদিন লুইসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েছেন। যদিও আগ্রাসী লুইসকে সঙ্গ দিয়ে কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করেছেন হোপ। ৭৫ বলে আসে তার ফিফটি।
৩০ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫১ রান। হোপ ৫১ ও পুরান ২১ রানে ব্যাট করছেন।
লুইসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব
ক্রিস গেইলকে হারানোর ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলেছেন এভিন লুইস। রানের গতি সচল রেখে উইন্ডিজকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরাতে পেরেছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের বলে লংঅফে অতিরিক্ত ফিল্ডার সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লুইস। তবে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। তাতে ভাঙে ১১৬ রানের জুটি।
২৫ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২২ রান। ৪৪ রানে ব্যাট করেছেন শেই হোপ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নিকোলাস পুরান।
লুইসের ফিফটি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে একশ
ইন্ডিজের ইনিংসের হাল বেশ দারুণ ভাবেই ধরেছেন এভিন লুইস ও শেই হোপ। শুরতে ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে খোলস ভেঙে বেশ আগ্রাসী ব্যাট করছেন তারা। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছে শতরান। ১১৮ বলে জুটির শতরান পূরণ করেছেন তারা। তাতে লুইসের অবদান ৫৪ এবং হোপের ৪১। সাকিবের টানা দুটি চার মেরে জুটির শতরান পূরণ করেন লুইস।
একই ওভারে দলীয় শতরান পার করার সঙ্গে নিজের হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেছেন লুইস। এবারের বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। এর আগে দুই ম্যাচ খেলে মাত্র ৩ রান করেছিলেন তিনি। ছন্দ খুঁজে পেতে বাংলাদেশকেই বেছে নেন এ ওপেনার।
২৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০৮/১। লুইস ৫৯ ও হোপ ৪১ রানে ব্যাট করছেন।
লুইস-হোপ জুটিতে পঞ্চাশ
শুরুটা দেখেশুনে করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিস গেইলের বিদায়ের পর আরও খোলসবন্দি হয়ে পড়েছিল দলটি। তবে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছেন আরেক ওপেনার এভিন লুইস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাংলাদেশকে প্রিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা শেই হোপ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
এবারের বিশ্বকাপে আগের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২ ও ১ রান করা লুইস ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। একাদশ ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে হাঁকিয়েছেন উইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম ছক্কা। উইকেটে মানিয়ে নিয়েছেন হোপও। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন তিনি।
১০ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩২ রান। এর পরের ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তারা তুলেছে আরও ৫৪ রান। ২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৮৬/১। লুইস ৪৫ ও হোপ ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
গেইলকে হারিয়ে উইন্ডিজের সাবধানী ব্যাটিং
ইনিংসের শুরুত হেকেই বেশ সাবধানী ব্যাটিং করছিল উইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইলকে হারিয়ে আরও সাবধানী হয়ে যায় দলটি। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ৩২ রান তুলেছে দলটি। আর এ ১০ ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছে দলটি। এভিন লুইস ১৭ ও শেই হোপ ১২ রানে ব্যাট করছেন।
গেইলকে ফিরিয়ে সাইফউদ্দিনের প্রথম আঘাত
দানবীয় ব্যাটিংয়ে জুরি নেই ক্রিস গেইলের। কিন্তু এদিন উইকেটে নেমে বেশ সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন তিনি। তবে এ ক্যারিবিয়ান দানব জ্বলে ওঠার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বলে রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন গেইল। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ১৩ বল খেলে কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি গেইল। দলীয় ৬ রানে পড়ে ক্যারিবিয়ানদের প্রথম উইকেট।
৪ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬ রান। ৫ রানে ব্যাট করছেন এভিন লুইস। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন শেই হোপ।
উইন্ডিজ দলেও পরিবর্তন একটি
হাঁটুর চোটে এদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল আন্দ্রে রাসেলের। তবে শেষ পর্যন্ত ফিটনেস টেস্ট উতরে যাওয়ার ম্যাচে আছেন তিনি। তবে একাদশে পরিবর্তন আছে একটি। ফর্মের খোঁজে থাকা কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে বাদ দিয়েছে তারা। তার জায়গায় একজন পুরোদুস্তর ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোকে একাদশে ফিরিয়েছে দলটি।
উইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শেই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেল, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।
বাংলাদেশ দলে এক পরিবর্তন
গত কয়েকদিন যাবত একাদশের পরিবর্তন নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল। রুবেল হোসেন ও লিটন কুমার দাসের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। তবে একটি পরিবর্তন করেছে তারা। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন লিটন। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় রুবেলকে একাদশে নেওয়ার ভাবনা থাকলেও ক্যারিবিয়ানদের স্পিন দুর্বলতার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত সে ভাবনা থেকে সরে এসেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মাঝ পথে এসে বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ প্রায় একই স্থানে অবস্থান করছে। দুই দলই চারটি করে ম্যাচ খেলে জয় তুলে নিয়েছে ১টি, সঙ্গে ১টি করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দলের পয়েন্ট ৩। তাই শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই কোন দলেরই। সে লক্ষ্যে টন্টনে মুখোমুখি দুই দল। নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে টস। আর তা জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। মানে আগে ব্যাট করবে ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।
টন্টনের আকাশে ঝলমলে রোদ
আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, এমন মেঘ থাকবে দিনভর কিন্তু বৃষ্টি হয়ে ঝরার সম্ভাবনা কম। বেলা বাড়লে মেঘ সরে গিয়ে দেখা মিলবে রোদের হাসি। অর্থাৎ মেঘ-রোদের লুকোচুরি খেলা চলবে ম্যাচজুড়ে।
গত দুদিনেও টন্টনে দেখা গেছে এমন রোদ-মেঘের খেলা। আকাশে এই ঘন কালো মেঘ করেছে-বৃষ্টি ঝরেছে টিপটিপ তো খানিক পরই সব মেঘ উধাও। দেখা দিয়েছে ঝলমলে রোদ। বাংলাদেশ দলও অনুশীলনের সময় পেয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তাতে অনুশীলন বন্ধ হয়নি। এরকম ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়লেও তাই খেলা একেবারে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আরও একটি মাইলফলকের সামনে সাকিব
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ছয় হাজার রান করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মর্যাদার ছয় হাজারি ক্লাবে ঢুকতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের চাই আর মাত্র ২৩ রান।
২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল বাঁহাতি সাকিবের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ বছর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে খেলেছেন ২০১ ম্যাচ। ৩৬.৬৬ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ৯৭৭। সেঞ্চুরি ৮টি, হাফসেঞ্চুরি ৪৪টি। তার উইকেটসংখ্যা ২৫২টি।
এবারের আসরে এরই মধ্যে আরও কয়েকটি মাইলফলক ছোঁয়া হয়ে গেছে সাকিবের। বাংলাদেশের জার্সিতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলা ও দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ৩২ বছর বয়সী তারকা। ৩ ইনিংসে ২ হাফসেঞ্চুরি ও ১ সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ২৬০ রান। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তিও গড়েছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ আসরে। সবগুলো ম্যাচেই নিরঙ্কুশ ফেভারিট ছিল ক্যারিবিয়ানরা। ফেভারিটের মতো খেলেই একপেশে জয় তুলে নেয় তারা। আর ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচটি অবশ্য পণ্ড হয় বৃষ্টির বাধায়। তবে সমীকরণটা এবার উল্টো। ইংল্যান্ডে চলমান বিশ্বকাপে পরস্পরকে মোকাবেলা করার আগে বাংলাদেশকেই বলা হচ্ছে ফেভারিট। উইন্ডিজ এবারে আন্ডারডগ।
দ্বৈরথের হিসাব-নিকাশটা পাল্টে দিয়েছে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া দুদলের ম্যাচগুলোর ফল। গেল এক বছরে মোট নয়টি ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ। তার সাতটিতে বিজয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের ঝুলিতে জয় মাত্র দুটি। এর মধ্যে সবশেষ টানা চার ম্যাচে জেসন হোল্ডারদের বিপক্ষে অপরাজিত মাশরাফি বিন মর্তুজারা। তাই বিশ্ব মঞ্চে জয়ের সম্ভাবনার দাঁড়িপাল্লাটা হেলে রয়েছে বাংলাদেশের দিকেই।