ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের কোপে জখম হওয়া নার্সের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের কোপে জখম হওয়া নার্সের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়া তানজিনা আক্তার (২৪) নামের এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে।
তানজিনা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর মাদ্রাসা পাড়ার আব্দুল হামিদের মেয়ে এবং সে ঠাকুরগাঁও গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলো।

বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকাকালীন সময়ে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২০ জুন সকালে বখাটে আরমান ইসলাম জীবন (১৯) এর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় তানজিনা। এ ব্যাপারে ওই দিন সন্ধ্যায় তানজিনার বাবা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে জীবনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরনী ও সুত্রমতে জানাযায়, ঠাকুরগাঁও গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের নার্স তানজিনা আক্তার প্রতিদিন সকালে হাসপাতালে যাবার রাস্তায় তাকে ও অন্যান্ন মেয়েদেরকে বখাটে আরমান ইসলাম জীবন ও তার কিছু সহযোগী উত্যক্ত করতো। এসব দেখে তানজিনা তাদের বাধা দিতো এবং বিষয়টি তাদের পরিবারে জানানোর কথা বলতো । ঘটনার দিন তানজিনা কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে তার বাড়ি থেকে বের হয়।

সে সময় বখাটে জীবন ও তার সহযোগীরা তানজিনার পথরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান হাতে, বুকে এবং পেটে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। তানজিনা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায় এবং উদ্ধারকারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তানজিনাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে আইসিইউ তে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে তানজিনার মৃত্যু হয়।ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, তানজিনার মৃত্যুর কথা শুনে মর্মাহত হয়েছি।

এজাহার ভুক্তো আসামী জীবনকে আমরা ঘটনার দিনই গেফেতার করেছি। এখন তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

শিক্ষা প্রতিদিন/ঠাকুরগাঁও/গৌ.চ.ব

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)