সুসংবাদের আড়ালে দুঃসংবাদ! বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের দুর্দিন আসছে!
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।।
সুপ্রিয় সহকর্মী শিক্ষক বন্ধুরা শিরোনাম দেখে আপনি আৎকে উঠতে পারেন, হতে পারেন বিষ্মিত। এ আবার কেমন দুঃসংবাদ। হ্যাঁ সুসংবাদের আড়ালেই ধেয়ে অাসছে দুঃসংবাদ। এতে প্রচন্ড বেগে কেঁপে উঠতে পারে বেসরকারি শিক্ষার ভিত। তছনছ হয়ে যেতে পারে বেসরকারি শিক্ষকদের স্বপ্ন।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রনালয় ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর ব্যাপী একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটির অাওতায় সকল শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই ও উপবৃত্তির পাশাপাশি পরীক্ষা ও টিউশন ফি দেয়া হবে। ফলে বিদ্যালয় কর্তপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আর পরীক্ষা ফি এবং টিউশন ফি আদায় করতে পারবে না।
প্রশ্ন উঠতে পারে এতে তো কোন সমস্যা নেই। সমস্যা অবশ্যই আছে। সরকার যে হারে টিউশন ফি দিবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আদায় করে থাকে। সঙ্গত কারনেই বিদ্যালয়ের আয় আগের চেয়ে অনেক কমে যাবে। আয় কমলে কমে যাবে বিদ্যালয় প্রদত্ত শিক্ষক সম্মানী।
একদিকে সরকার প্রদত্ত অনুদান থেকে অবসর ও কল্যান থেকে ১০% কেটে নেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতনও যদি কমে যায় তবে তা হবে বোঝার উপর শাকের আটি চাপিয়ে দেয়ার শামিল।
সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় এসেছে ভাববার। এখনিই যদি জাতীয়করণের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে না পড়েন তবে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
তাই বলতে চাই আর নয় কালক্ষেপন, নিজের বুঝ পাগলেও বুঝে। অাসুন সমসুরে অাওয়াজ তুলি, “এবারের সংগ্রাম আমাদের অধিকার অাদায়ের সংগ্রাম– এবারের সংগ্রাম জাতীয়করণের সংগ্রাম।”
লেখক
প্রধান শিক্ষক
পীর কাশিমপুর আর এন উচ্চ বিদ্যালয়
মুরাদনগর, কুমিল্লা। ০১৮১৮৬৬৪০৩৪