জাতীয়করণ সহ সকল বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বাশিস নজরুলের মানববন্ধন পালিত
অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কাটা বন্ধসহ ঈদুল আযহার আগেই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (নজরুল) প্রধান উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ এবং সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা জানান, বর্তমানে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পান, যা দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তাই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে ঈদ বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তারা আরও বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ বেতন পেলেও সরকারি কর্মচারীদের সাথে রয়েছে আকাশ ছোঁয়া বেতন বৈষম্য। ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দিয়ে কিছুই করা যায় না। শিক্ষকরা সারাজীবনে একটি মাত্র টাইমস্কেল পান। যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
তারা আরও বলেন, এই বেতন বৈষম্য দূর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তারা। তারা বলেন, সরকারিকরণ এখন সময়ের দাবি মাত্র। এ দাবিকে গণ দাবিতে পরিণত করার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব,নজরুল ইসলাম রনি, সহ-সভাপতি গাজী মামুন আল জাকীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো. আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান রানা, যুগ্ম-মহাসচিব মো. হান্নান সরদার, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান,মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন সাধারন সম্পাদক চট্টগ্রাম বিভাগ, সহ-মহিলা সম্পাদক ইয়াসমিন বেগম প্রশান্ত কুমার সরকার সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত)কুমিল্লা জেলা শাখা সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা।এবং মানববন্ধন পরিচালনা করেন জনাব,মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।