অনলাইন ক্লাসে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান,
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ছবি: প্রতীকী
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েক বছর আমাদের করোনার সঙ্গেই মিলেই বাস করতে হবে। এতে করে বদলেও যেতে পারে আমাদের স্কুল-কলেজ, অফিস সংক্রান্ত ধ্যান ধারণা। ফলে, ঘরবন্দি থেকে অনলাইনেই কাটাতে হবে অনেকটা সময়। তাই নতুন দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়েও নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। অনলাইন ক্লাস ব্যাপারটার সঙ্গে আপনার সন্তান এবং আপনি নিজে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বাচ্চা বা কিশোর-কিশোরীদের সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি থাকে শিক্ষকের। তাদের স্বাভাবিক দুষ্টুমির সঙ্গে তাঁরা পরিচিত।

কিন্তু বাড়ি থেকে লেখাপড়ার ব্যবস্থা হওয়ায় অভিভাবকরা নাক গলাচ্ছেন পড়াশোনায়। আর তা সামলাতে অনেক বেশি অসুবিধে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই অভিভাবক হিসেবে আপনি সতর্ক হোন। বাচ্চার স্কুলের ক্লাস চলার সময়ে নাক গলাবেন না। অসুবিধে হলেও তারা মানিয়ে নেবে পরিস্থিতির সঙ্গে। আর দুষ্টুমিও করলে, সেটা শিক্ষক সামলাবেন। দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে নেই শিক্ষার্থীরা। ফলে এতে করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হয়েছে। তাছাড়া, এক ধরণের মানসিক চাপের মধ্যেও রয়েছে। তাই এই সময়ে পরিবারের উচিত তাদের সর্বোচ্চ মানসিক সাপোর্ট দেওয়া। এতে করে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

অনলাইন ক্লাস চলার সময়েও স্কুলের ডিসিপ্লিন একটি বড় বিষয়। প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগেই তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। সাধারণত অ্যাটেনডেন্স মার্ক করার আগে শিক্ষক ভিডিয়ো অন করতে বলেন। তাই স্কুলের পোশাক পরে তৈরি হয়ে ক্লাসে বসতে হবে। ক্লাস চলাকালীন ভিডিয়ো এবং অডিয়ো অফ রাখতে বলা হয়। তা না মানলে শিক্ষকের পড়াতে অসুবিধে হয়। প্রযুক্তির এই বিষয়গুলোতে একটু সচেতন থাকতে হবে। তা না হলে এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে ফলপ্রসূ হয় না। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকেই এই ধরণের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হচ্ছে। তাই পরিবারকে তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তাতে করোনাকালীন সময়ের নতুন এই দূরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম অনেকখানি ফলপ্রসূ ও কার্যকর হবে। সব শিক্ষকই ছাত্রকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেন। কোনও অসুবিধে থাকলে তখনই জেনে নিতে হবে। বাচ্চা ক্লাসে মন দিচ্ছে কিনা? নোট নিচ্ছে কিনা। সেটা আপনি দেখলেই বুঝবেন। তবে তখনই হামলে পড়ে বকাঝকা করার দরকার নেই। পরে তার সঙ্গে কথা বলুন। বোঝান যে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা সে এই সময়ে খুব মিস করছে। তাছাড়া, বন্ধুরা একসাথে মিলে যে গ্রুপ স্টাডি করার সুযোগ ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বকাবকি না করে তাকে বোঝান। যুক্তি দিয়ে বোঝালে বাচ্চারা সব কথা শোনে। সন্তান স্কুলের কাজ ঠিকমতো করছে কিনা বা শিক্ষকের দেখিয়ে দেওয়া ভুল শুধরে নিচ্ছে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। প্রথমদিকে একটু এদিক ওদিক হতে পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতি কবে বদলাবে কেউ জানে না। তাই নতুন পৃথিবীর জন্য তাকে আজ থেকেই তৈরি করুন।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)