এমপিওভুক্ত কলেজে ১৬/১৮ বছর যাবত নন-এমপিও আইসিটি প্রদর্শকদের এমপিওভুক্ত করার দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ১১:১৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ছবি: প্রতীকী
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। গত ২০মার্চ ২০০৫খ্রি. পূর্বে হতে যা নিবন্ধন আইনের পূর্বে হতে বাংলাদেশে প্রায় কয়েকশত পুরাতন এমপিওভুক্ত (উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি) কলেজ গুলোর উচ্চমাধ্যমিক স্তরে (পূর্বে অনুমোদিত ঐচ্ছিক বিষয় ছিল যা বর্তমান সরকার অনুমোদিত আবশ্যিক বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত) ১জন করে আইসিটি (কম্পিউটার শিক্ষা) বিষয়ের প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) দীর্ঘ ১৬/১৮ বছর যাবত নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্যাটার্ন ভুক্ত পদ। এসব আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) গণের মধ্যে অনেকের এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি ও দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ পেশাগত বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ১৬/১৮ বছর যাবত কর্মরত থাকলেও অনেকের এখনও এমপিও হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ সন্তানদের শিক্ষা নির্বাহ, দৈনন্দিন ব্যয়, চিকিৎসা ব্যয়, পিতা-মাতা সহ পরিবারের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নিকট নিবেদন, প্রায় কয়েকশত পুরাতন এমপিওভুক্ত কলেজ গুলোর আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) ১৬/১৮ বছর যাবত কর্মরত আছেন যাদের মধ্যে অনেকের এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি তাদের দ্রুত এমপিওভুক্ত করতে এ বিষয়ে সদয় দৃষ্টি দিবেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন যে, নন-এমপিও আইসিটি প্রদর্শকগণ সকলেই এমপিওভুক্তির জন্য তৎসময়ে নিজ নিজ নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদান করার পর পরই রাষ্ট্রীয় তফশীল ব্যাংক (১). সোনালী ব্যাংক : রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ, (২). অগ্রণী ব্যাংক : ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ, (৩). জনতা ব্যাংক : চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, (৪). রুপালী ব্যাংক : খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এর যে কোন ১টি’তে নিজ নিজ নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র অনুলিপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র সহ ব্যক্তিগত হিসাব (একাউন্ট) ও নম্বর খোলা আছে। কয়েকশত পুরাতন এমপিওভুক্ত কলেজের যে সকল নন-এমপিও আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) যারা ১৬/১৮ বৎসর যাবত এমপিওভুক্ত কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে যাদের এখনও এমপিও হয়নি (নন-এমপিও) তাদের সকলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যাতে দ্রুত অফলাইনে হার্ডকপি জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত করে তার নির্দেশ প্রদান করবেন। মাস শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ঠিকই তাদের মাসিক বেতন ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা? এমপিওভুক্ত কলেজ গুলোর নন-এমপিওভুক্ত আইসিটি প্রদর্শক শিক্ষকদের কথা একবার ভাবুন। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশায় আছেন তিনি, হোক না নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক। এ যে সম্মানের পেশা, মাথা নত না করার পেশা। হীন অবস্থায় থাকলেও শির কিন্তু টান করেই রাখে এ শিক্ষকরা। কারণ সরকারি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যেমন শিক্ষক, তেমনি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও শিক্ষক।

জাতি বিনির্মাণের নিপুণ কারিগর এবং সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত শিক্ষক সমাজের এমন করুন চিত্র আজ সর্বত্র। যারা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে কর্মরত তারা জীবন যৌবন উৎসর্গ করে জাতিগঠনে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। সেই শিক্ষকদের সুখ-দুঃখ প্রকাশের ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে নেই কোন নির্ভরশীল অভিভাবক।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। মুজিব বর্ষেই হোক সকল এমপিওভুক্ত কলেজের নন-এমপিও আইসিটি (কম্পিউটার শিক্ষা) বিষয়ের প্রদর্শক পদের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার এমপিওভুক্ত করা দরকার।

দাবি : “নিবন্ধন আইনের পূর্বে পুরাতন এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগকৃত প্রদর্শক (আইসিটি) শিক্ষকদের মধ্যে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে জোর দাবী জানাচ্ছি।”
(মতামত)

লেখকঃ
মো. আব্দুস সালাম (শিপলু),
প্রদর্শক, আইসিটি (কম্পিউটার শিক্ষা),
জয়লাজুয়ান ডিগ্রী কলেজ, শেরপুর, বগুড়া, বাংলাদেশ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)