কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগে বাধা নেই

স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
সনদধারীদের মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগে আর বাধা নেই। এ বিষয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল খারিজ করে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার (২৫ নভেম্বর) এ রায় দেয়।
নিবন্ধনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, রেজওয়ান কবির শাকিব ও মো. জহিরুল ইসলাম। সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের পরে বলেন, “এ রায়ের ফলে স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারীদের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগে আইনি কোনো বাধা থাকল না।”
মাধ্যমিক পর্যায়ে (স্কুল ও মাদ্রাসায়) কম্পিউটারের শিক্ষক নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দেয়।
২০ জুলাই থেকে ১০ অগাস্ট আবেদনের সময়সীমা রেখে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। কম্পিউটার বিজ্ঞান/ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়িরিং-এ স্নাতক/সমমান অথবা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি/ সমমান এবং সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ন্যূনতম ছয়মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে বিধায় শুধু এরূপ যোগ্যতাধারী প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করতে হবে।’
এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের কয়েক হাজার সনদধারী অনলাইনে আবেদন করেন।
কিন্তু ওইদিন হঠাৎ আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে এনটিআরসিএ আবেদনের যোগ্যতা পরিবর্তন করে ফের বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এই বিজ্ঞপ্তিটি চ্যালেঞ্জ করে ৪৫ জন সনদধারী পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন হাই কোর্টে। এ দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতেই হাই কোর্ট রুলসহ নির্দেশনা দেয়।
হাই কোর্টের সে নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়াদ বৃদ্ধি করে আবারও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয় আবেদনকারীদের। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর আপিল করে সরকার।