ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মাসিকে সমস্যা?
২৫% নারীদের মধ্যে ব্লিডিং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং কম হয়েছে, পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা এবং খিঁচুনির মতো সমস্যাও দেখা দিয়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসের সাথে লড়াইয়ের একমাত্র পন্থা হলো ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞদের মতে একমাত্র ভ্যাকসিনই পারে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে।
ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল বোল্ডস্কাই.কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পরবর্তীতে অনেকের মাঝে কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যেমন মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এবং জ্বর। কিন্তু অনেক নারীকে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যাচ্ছে। যেমন, মাসিকের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তপাত, সঠিক সময়ে পিরিয়ড না হওয়া, ইত্যাদি।
৩৫ বছর বয়সী একজন নারী জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে পিরিয়ডের সময় তার প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়েছিল। তিনি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ মার্চ মাসে এবং দ্বিতীয় ডোজ মে মাসে নিয়েছিলেন। প্রথম ডোজের কিছুদিন পরেই তার পিরিয়ডের ডেট ছিল, তবে দ্বিতীয় ডোজের সময় তার পিরিয়ড চলছিল। ডোজ নেওয়ার পরে প্রচুর ব্যথা হয়েছিল এবং ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ব্লিডিং হয়েছিল।
এমনকি, ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যেও পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গেছে বলে জানা গেছে। এই বয়সের ২৫% নারীদের মধ্যে ব্লিডিং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং কম হয়েছে, পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা এবং খিঁচুনির মতো সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে খুব কম নারীই পিরিয়ডের সমস্যায় পড়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, এই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা হয়নি এবং অনেকেই এ সম্পর্কে জানেন না। এখনও পর্যন্ত এমন কোনো গবেষণা করা হয়নি, যেখানে এটা বলা হয়েছে যে ভ্যাকসিন পিরিয়ডের কোনও পরিবর্তন করতে পারে। তবে স্ট্রেস বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব পিরিয়ডকে প্রভাবিত করতে পারে। মহামারির কারণে অনেকে মানসিক চাপে ভুগতে পারেন, যার কারণে পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এগুলো অস্থিতিশীল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং এইরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহণের উপকারিতা বেশি, আর তাই অন্যকোনো চিন্তা না করে নারীদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করা উচিত বলে জানান।
সৌজন্যেঃ ঢাকা ট্রিবিউন