সরকার চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৬:১৬ এএম, ২৪ জুলাই ২০২১

বাংলাদেশ ন্যাপ
গত কয়েক বছরের মতো এবারও চামড়া শিল্প রক্ষায় সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারের ভুলনীতির কারণে গত কয়েক বছরে সিন্ডিকেট চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। কিন্তু সরকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতেও ব্যর্থ।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি করেন।

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, বিশ্ব বাজারের চাহিদানুযায়ী চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ উল্টো। গত কয়েক বছরে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের বিপর্যয় থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ সরকার নিতে পারেনি। ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অনেককে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলতে দেখা গেছে। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এর পেছনে কাজ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। অথচ সরকার সেদিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করছে না।

নেতারা বলেন, চামড়া শিল্প দেশের অর্থনীতির সাফল্যগাঁথায় স্বীকৃত হতো একসময়। সেই স্বীকৃতির বড় কারণ ছিল কোরবানির পশু থেকে পাওয়া চামড়া। মূলত পাট এবং চামড়া শিল্পের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির গোড়াপত্তন। পাট আজ ইতিহাস। পাটকলগুলোর যন্ত্রপাতি লুট হয়ে গেছে। এ বছরও চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিক্রেতারা। কোথাও কোথাও নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। করোনায় বিপর্যন্ত দেশের নিম্নবিত্ত মানুষের কোনো দায়িত্ব নিতেই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তার ওপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর চামড়া থেকেও গরিব মানুষের হক নষ্ট করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)