অকল্পনীয়ভাবে অলিম্পিক রেকর্ডের দুয়ারে সানিয়া মির্জা
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে অনন্য এক কীর্তি। রোববার অলিম্পিকে নারী দ্বৈত বিভাগে ইউক্রেনের বিপক্ষে মাঠে নামলেই ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলেট হিসেবে চারটি অলিম্পিকে নামার রেকর্ড করবেন তিনি। কিন্তু এই রেকর্ড যে তিনি আদৌ গড়তে পারবেন, সানিয়া সেটা ভাবতেও পারেননি।
এইতো কয়েক মাস আগেও টোকিও অলিম্পিকে নামার কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাননি সানিয়া। হয়তো নির্ধারিত সময়ে গত বছর অলিম্পিক মাঠে গড়ালে খেলাও হতো না তার।
২০১৮ সালের অক্টোবরে পেয়েছেন মাতৃত্বের স্বাদ। এরপর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই জীবন বদলে গেছে তার। সে সময় সদ্যজাত ছেলেকে সময় দেওয়ার বাইরে কিছু ভাবতেই পারেননি তিনি, টেনিস কোর্টে নামা তো অনেক দূরের পথ! সেই সানিয়াই এবার ফিরেছেন কোর্টে, নাম লেখাবেন রেকর্ডের খাতাতেও।
আগের তিনটে অলিম্পিকে নামা, আর এ বার নামার মধ্যে একটু তফাৎ আছে। এ বার মা হয়ে নেমেছি। এটা একটা বিশেষ অনুভূতি।
সানিয়া মির্জা, ভারতীয় টেনিস তারকা
তার আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানিয়া বলেন, ‘চারটা অলিম্পিকে নামার কথা কেউই ভাবতে পারে না। যখন খেলা শুরু করেছিলাম, আমি ভাবিনি। এমন অর্জন সহজ কিছু নয় আদৌ। তবে আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও বেশি কঠিনই ছিল। ইজহান (সানিয়ার ছেলে) জন্ম নেওয়ার পর আমার জীবনযাত্রাই পাল্টে গিয়েছে। তখন আমি জানতামই না আবার কবে কোর্টে নামতে পারব।’
কিন্তু পুত্রসন্তানকে সামলেও কোর্টে ফিরতে পারবেন, এই স্বপ্নটা মনের মধ্যে ছিলই। এ কাজ কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু তো আর নয়! টেনিস জগতেই তো এমন নজির আছে বেশুমার। শেষ দশ বছরেই এমন কীর্তি আছে কমপক্ষে দুটো। কিম ক্লাইস্টার্স রীতিমতো ফিরেছিলেন অবসর ভেঙেই, আর নারী টেনিসের কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস মা হওয়ার পর টেনিস কোর্টে ফিরেছিলেন, খেলেছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালেও।
সানিয়া জানান, কোর্টে ফেরার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার। তার ভাষ্য, ‘আবার টেনিস শুরু করব, এই আত্মবিশ্বাসটা ছিল। তবে সেটা কবে থেকে, সেটা জানতাম না। এ কারণেই অলিম্পিকে খেলার কথা তখন মাথাতে আনিনি। তখনকার কথা নাহয় বাদই দিচ্ছি, কয়েক মাস আগে যখন অনুশীলন শুরু করলাম, তখনও তো অলিম্পিক নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু তারপর যত দিন এগিয়েছে, তত মনে হয়েছে পারব। সেটাই পারলাম।’