ভাত খাওয়া কমিয়ে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের সংকট নেই, খাবার নিয়ে হাহাকার নেই। তবে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ভাত খায়, এটি কমানো গেলে দেশে চালের চাহিদা অনেক কমে যাবে।
আজ রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর, কৃষি রূপান্তর অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি রয়েছে, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট হয়নি, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। কোনো মানুষের মাঝে হাহাকার নেই। এমনই পরিস্থিতে আমাদের আজকে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে আমরা পুষ্টিজাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিতে চাই। সে জন্য বাংলাদেশকে আমরা আধুনিক কৃষিতে নিয়ে যেতে চাই। আমরা বাংলাদেশকে এগ্রোপ্রসেসিং, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে নিয়ে যেতে চাই, যাতে করে আমাদের উদ্বৃত্ত খাবার, আমরা অনেক বেশি চাল খাই, অনেক বেশি ভাত খাই।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ভাতের কনজামশন (ভোগ) কমাতে পারি তাহলে আমাদের চালের যে দরকার এটা অনেক কমে যাবে। প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল আমরা প্রতিদিন খাই। পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০ গ্রাম চালও খায় না। কাজেই বাংলাদেশ কিন্তু সত্যিকার অর্থে দানাজাতীয় খাদ্যে অনেক আগেই সফল হয়েছে। সেটাকে যদি আমরা পুষ্টিজাতীয় খাবারে নিতে পারি, পুষ্টিজাতীয় খাবার- দুধ, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল এটিই আমাদের লক্ষ্য। কৃষির প্রতিটা ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের কৃষি ধানভিত্তিক, এখনও ৭৪-৭৫ ভাগ জমিতে ধান হয়। কিন্তু আমাদের শাকসবজি, ফলমূল, চাল বাদেও আমাদের তেল, ডাল, শাকসবজি প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। সেটা দর্শনীয়। সারা পৃথিবী সেটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করতে হবে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছর পর সারা বছর বাংলাদেশে আম পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
Courtesy: AjkerPatrika