‘শিগগিরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩৬ হাজার জনবল নিয়োগ’
শিগগিরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। অবিলম্বে খালি পদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্র অনুমোদন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আশা করছি, আমরা খুব শিগগির খালি পদগুলো পূরণ করতে সক্ষম হব।জনপ্রশাসনের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রশাসনের গতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের দ্বারা মানুষ প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছে— এমন অভিযোগের ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, জনসাধারণের প্রশাসন গঠনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জনগণকে দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি দেখেছি যে, সাধারণ মানুষ সরকারি অফিসে যেতে পারেন না। এমনকি তাঁরা সরকারি অফিসে গেলেও যথাযথ সম্মান পান না।
এ পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি ত্রুটি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জনসাধারণের কল্যাণভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই।
এসব ব্যাপারে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ। এ ছাড়া এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তৃণমূল কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ফরহাদ।
তিনি বলেন, আমরা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি যে, জনগণ সব ক্ষমতার উৎস এবং প্রশাসনকে সেবা দেওয়ার জন্যই কাজ করতে হবে।
প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ বছর ধরে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সেই নীতিই অনুসরণ করছি।
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে স্মরণ করে ফরহাদ বলেন, যারা সেবা চান, তারা আমাদের ভাইবোনদের মতো, আমাদের আত্মীয়স্বজনদের মতো। তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। সরকার এই লক্ষ্য পূরণের জন্যই কাজ বলে জানান ফরহাদ। জনসাধারণের সেবা বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সমৃদ্ধ হতে চাই, পৃথকভাবে না বরং একসঙ্গে। আমরা জনপ্রশাসনকে জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ভবিষ্যতে এটি আন্তর্জাতিক মানের হবে। আমরা যদি দক্ষতার সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদেরকে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে মানুষ তাঁদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণ হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন জানান, জনগণের দুর্ভোগ সম্পর্কে জানতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনকে সাপ্তাহিক শুনানি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের পছন্দমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ফরহাদ আরো বলেন, সরকার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে চায়। সুশাসন মানে জনগণের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং জনসাধারণের কর্মচারী হিসেবে তাদের মতো করে সেবা দেওয়া।
প্রতিমন্ত্রি ফরহাদ বলেন, জনগণের সেবা করার জন্য আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।