মাউশিতে শিক্ষক নেতাদের সভা শেষে অমিমাংশিত রয়ে গেল ৪% কর্তন
বেসরকারি শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪% কর্তন স্থায়ী করাই ছিল মিটিং এর মুখ্য উদ্দেশ্য। কর্তন বন্ধ করার জন্য স্থায়ী সমাধান জানতে চান কর্তৃপক্ষ। কীভাবে অবসর ও কল্যান তহবিলের আয় বৃদ্ধি করা যায় সেটা শিক্ষক নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। কর্তন বন্ধ করার পূর্ব শর্ত হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল যদি অবসর ও কল্যান তহবিলের আয় বৃদ্ধি করার কোন উৎস থাকে সেটা বলুন নতুবা কর্তন বন্ধ করা কোন মতেই সম্ভব নয়। আয়ের উৎস থাকলে বলুন কর্তন বন্ধ হয়ে যাবে।তাতে দেখা দেয় শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রয়া। বলতে থাকে আগে কর্তন বন্ধ করুন তারপর সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হবে। কিন্তু এটা কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি। বেসরকারি শিক্ষকদের ভাগ্যের চাকা এবার ও ঘুরল না। জং পরে আটকে গেল আবার। আগে অবসর ও কল্যান তহবিলের আয় বৃদ্ধি করার উপায় বলুন তারপর গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হলে কর্তন বন্ধ করার সুপারিশ করা হবে,অন্যথায় কর্তন বন্ধ করা হবে না। বলে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
অবসর ও কল্যান তহবিলের টাকার সংকটের কথা উল্লেখ করে বলা হয় অতিরিক্ত ৪% কর্তন না করলে অবসরে যাওয়ার পর ভোগান্তির শিকার হতে হবে এটা কি আপনারা চান? অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে। কিন্তু অপর দিকে আপনারা বেশি সুযোগ সুবিধা পাবেন বার বার একথাটি বলা হচ্ছিল। কিন্তু কি সুযোগ সুবিধার কথা হচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়? বলেছেন আপনাদের ৫% ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে তাতে কি আপনাদের বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না? তাহলে কর্তন মেনে নিতে অসুবিধা কোথায়? তাতে তো বাড়তি সুযোগ সুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক । তবে সুনির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা ছিল না। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি( নজরুল) এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন বলেন শিক্ষক সমাজ এটা কীভাবে মেনে নিবে বলুন?
তবে মহাপরিচালক জোড় দিয়ে বলেছেন বদলি ব্যবস্থা চালু হচ্ছে আপনারা যেভাবে চান সেভাবে। এখানে একটু আশার আলো দেখতে পান শিক্ষক নেতারা। সুনির্দিষ্ট ভাবে আয়ের হিসাব দিতে পারলে কর্তন বন্ধ হতে পারে । এজন্য ৫ টি সংগঠনের নেতাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে কমিটির মাধ্যমে সম্ভাব্য আয়ের উৎসের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। যদি এই আয়ের উৎস সঠিক মনে হয় তাহলে কর্তন বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে মর্মে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন।
তবে এসময় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে চরম অবস্থা বিরাজমান ছিল। শিক্ষক নেতারা আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দেয়। আন্দোলনের বিকল্প আর কোনো পথ খোলা রইল না বেসরকারি শিক্ষক সমাজের জন্য। কর্তন কর্তন খেলা বন্ধ করার জন্য একটি পথই খোলা রইল সেটা হলো রাজপথের আন্দোলন। শিক্ষক নেতারা বলেন শিক্ষক সমাজ আর ঘরে বসে না থেকে এগিয়ে আসুন নিজ অধিকার আদায়ে রাজপথে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ এই যে, আপনি নিজে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনুন। নতুবা বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে।
শিক্ষা প্রতিদিন / শিক্ষা / মোঃ আবুল হোসেন