সবার জন্য ভোকেশনাল শিক্ষা উন্মুক্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বিজ্ঞান ছাড়াও অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ভোকেশনাল (কারিগরি ও পেশাগত-যেমন নার্সিং) শিক্ষা খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য বিভাগের ছাত্ররাও যেন এতে ভর্তি হতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বর্তমান সরকারের সপ্তম জাতীয় তিনি এই নির্দেশ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সভার শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভোকেশনে ভর্তি হতে গেলে মানবিক বিষয়ে যারা পড়াশোনা করেছে, তাদেরকে নিতে চায় না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এটা উচ্চতর বিজ্ঞান নয়। এটা সবার জন্য খুলে দেন। এর জন্য একটা প্রি-টেস্ট নেন। একটা টেস্ট নিয়ে শুধু বিজ্ঞানের ছাত্র নয়, মানবিকের ছাত্ররাও যাতে এতে ভর্তি হতে পারে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আরও কিছু নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে সমাপ্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার এ কথা বলছেন। আর গ্যাস লাইন যেদিক দিয়ে যায়, সেটা অনেক সময় চিহ্নিত থাকে না। এখন থেকে চিহ্নিত করে রাখতে হবে। এসব লাইনের ওপর ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল করা যাবে, কিন্তু বড় গাছ লাগানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো ঢাকায় কোনো কেমিক্যাল গোডাউন থাকা যাবে না বলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। এর আগেও তিনি এ কথা বলেছেন, আজও বললেন। তাদের জন্য আজকে আমরা একটা গোডাউন নির্মাণের অনুমোদনও দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজনের অধিক এক ইঞ্চি জমিও নেয়া যাবে না। যতটুকু সম্ভব ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রকল্প শেষ হলে চিৎকার শুরু হয় সেখানে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে নেয়ার জন্য। এ বিষয়টিও সমাধানের জন্য বলেছেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী)।
আজকের একনেক সভায় চারটি সংশোধিতসহ মোট ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ১১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার ব্যয় করবে ৪ হাজার ৪০৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ৪৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ঋণ নেয়া হবে ৫ হাজার ২২০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
সৌজন্যেঃ দৈনিক শিক্ষা