অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে লিয়াঁজো ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার।।
৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ৬% এর পরিবর্তে অতিরিক্ত ১০% কর্তন করে এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় করায় শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।বুধবার (১মে) এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের অতিরিক্ত ৪% কর্তন করায় শিক্ষক সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সারাদেশের কয়েকশত শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। সকলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। গতকাল ৩০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ভূমিকা নিয়েও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত ৪% কর্তন স্থগিত করার বিষয়ে মাউশির ডিজির কোন আন্তরিকতা বা ভূমিকা না থাকায় শিক্ষক সমাজে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অবিলম্বে অতিরিক্ত ৪% কর্তন স্থগিতসহ আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই ২৫% এর পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস এবং ২০১৯-২০ অর্থ বাজেটে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ১০০০ টাকার পরিবর্তে সরকারি নিয়মে বাড়ী ভাড়া প্রদান ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি নীতিমালা অবিলম্বে চালু করার জোর দাবি জানান। নতুবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘটসহ আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে মানববন্ধনে জানানো হয়। প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মূখপাত্র জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম রনি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করেন- বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মামুন আল জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বাশিসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান, সহকারী মহাসচিব মোঃ মঈনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সরদার, বিটিসির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ মঞ্জুরুল আমিন শেখর, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরোজ মিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি শাহানাজ সুলতানা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আমির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলাম হোসেন ও মোঃ কামরুল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলার প্রচার সম্পাদক মোঃ আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার নাদিম এবং প্রধান উদ্যোক্তা আফজালুর রশিদ, বাংলাদেম শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ এনামুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর কুমার দেবনাথ প্রমুখ।
কর্মসূচি: ঈদের পর সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংগঠণের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সুত্রঃ অন্যদৃষ্টি ডট কম