বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় ‘ফণি’র গতি থাকবে ১১০ কি মি
বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সময় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র বাতাসের গতিবেগ ৯০-১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে। এসময় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার ২৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এতে বলা হয়, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৩ মে শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর পুনঃ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি,বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও সাগরে অবস্থারত সকল অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।