বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে করণীয় গুলো তুলে ধরা হলোঃ
১। শিক্ষা ব্যবস্থায় বদলি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় নিত্য নতুন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ শিক্ষক পাওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু অসাধু
শিক্ষকদের সিন্ডিকেট দূর হবে। পাঠদান প্রক্রিয়া হবে স্বচ্ছ এবং যুগোপযোগী। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
২। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র স্কেল থাকা উচিৎ। তাতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাণ সঞ্চার হবে।
৩। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর ও কল্যান তহবিল প্রথা বিলুপ্ত করে পেনশনের আওতায় আনা অতীব জরুরি।
৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকি বাড়াতে হবে। প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা করার ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি। তাতে পাঠদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত
হবে। সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে।
৫। পূণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন - পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস, ৫০% বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা, স্বল্প সুদে গৃহ ঋণ দেওয়ার
ব্যবস্থা করলে শিক্ষকদের মধ্যে স্পীড বৃদ্ধি পাবে। যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৬। প্রতিটি শিক্ষককে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাতে শিক্ষকদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একান্ত প্রয়োজন।
৭। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়ে।
৮। ম্যানেজিং কমিটিতে শিক্ষিত লোকের ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের দ্বারা শিক্ষার মান উন্নয়ন নির্ণয় করা সম্ভব। ম্যানেজিং কমিটি যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ
সুবিধা গুলো দেখাশুনা করে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এখানে তাই শিক্ষিত লোকের প্রয়োজন। তাই শিক্ষিত লোকদের পরিচালনা করতে শিক্ষিত
লোকের প্রয়োজন।
৯। প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা প্রয়োজন। যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১০। শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক ফলাফলের জবাবদিহিতার বন্দোবস্ত করা হলে পাঠদানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
সর্বশেষ এক কথায় বলা যায় যে, সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ব্যবস্থা জাতীয়করণের আওতায় এনে সকল সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
লেখক ও কলামিস্টঃ
মোঃ আবুল হোসেন
সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব
বাশিস (নজরুল)
কেন্দ্রীয় কমিটি।