কল্যাণ ট্রাস্টের আয় বাড়াতে হাসপাতাল ও শিক্ষা কমপ্লেক্স হচ্ছে
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে একটি হাসপাতাল ও একটি শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। গত ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের ৯ম বোর্ডের ৮ম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সভায় উপস্থিত ট্রাস্টের একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত করতে রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরে এবং গ্রীণ সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশে প্রধান সড়কের সাথের সাড়ে ৬৬ কাঠা জমি কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ জমিতেই হাসপাতাল ও শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। হাসপাতাল ও শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ কারার জন্য জমির বর্তমান অবস্থা যাচাই এবং মূল্য সম্পর্কে জামির বর্তমান মালিকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুড়ান্ত করার মত দেন সভায় উপস্থিত সদস্যরা। সভায় সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজুসহ ২১ সদস্যের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতাল ও শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ ড. মো. গোলাম ফারুক। এ কমিটি জমি ক্রয়ের ব্যবস্থা করবে।
এদিকে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য শিক্ষকদের এমপিও থেকে মাসিক চাঁদা বাবদ ৪ শতাংশ অতিরিক্ত কর্তন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা ৩০ এপ্রিলের সভায়ও দু্টি প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানোর জন্য শিক্ষক নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
ওই সভায় আয় বাড়ানো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাশেষে শিক্ষক নেতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোনও কোনও নেতা শিক্ষা বন্ড চালু, পাবলিক পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা আদায়সহ অনেক মতামত দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার শিক্ষকদের জন্য ব্যাংক স্থাপনের পরামর্শও দিচ্ছেন।
তবে, কল্যাণট্রাস্টের আইনে সব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে একবার পাঁচ টাকা করে আদায়ের বিধান থাকলেও ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ডসভায় গত কয়েকবছর ধরে এমন আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বা করা যায়নি।