বাশিসের (নজরুল) নেতৃত্বে জাতীয়করণ আন্দোলনে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক

আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান,
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ | আপডেট: ০৩:১৭ পিএম, ১৯ মে ২০১৯

বাশিস (নজরুল)
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরে জাতীয়করণ আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন ঐক্য করার জন্য এগিয়ে আসছেন। বাশিসের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন গত ১৮/০৫/২০১৯ ইং তারিখে বাশিসের সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার পার্টিতে যোগদান করেছে। স্থান ছিল - জাতীয় প্রেসক্লবাবের সামনে ( ঢাকা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট) উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠন গুলোর একটিই দাবি ছিল সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।

এই জাতীয়করণ আদায়ের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নাম *** (এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটি গঠন)। ***
সকলের সম্মতিতে এই কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটির প্রধান কাজ সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ আদায়ে কাজ করা। এজন্য প্রতিটি জেলা, থানা, বিভাগীয় পর্যায়ে সকল বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সোচ্চার করা এবং সংগঠিত করা। আর নয় কর্তন সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।

আগামী পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০০ শতাংশ ঈদ বোনাসের ঘোষণার দাবি জানানো হয় । সরকারি ন্যায় বাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতার দাবি জানানো হয় ।শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বদলি ব্যবস্থার এবং সন্তানদের শিক্ষা ভাতার ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
স্বাধীনতার এত বছরে ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের স্বীকার এটা মেনে নেয়া যায় না। তা ফুটে উঠেছে নেতৃবৃন্দের বক্তৃতায়।
তাই আগামী ৩০/০৫/২০১৯ ইং তারিখের মধ্যে কর্তন কর্তন খেলা বন্ধ করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য থাকার কারণে শিক্ষক অসন্তোষ আজ চরমে। যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকি স্বরূপ । এতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে যা কোনো মতেই কাম্য হতে পারে না।
যেখানে বাংলাদেশ আজ মধ্যেম আয়ের দেশে পৌঁছে গেছে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় দ্বিতীয়। সেখানে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ উন্নয়নের স্বাদ থেকে বঞ্চিত, করিতেছে মানবেতর জীবনযাপন। দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল না বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এ দুঃখ কেমন করে মেনে নিব।

তাই শিক্ষক নেতৃবৃন্দের একটিই দাবি সমগ্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি জানানো হয় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ এই যে, আপনি বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাণ ফিরিয়ে আনুন এবং সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন । শিক্ষকরা চিরকাল আপনার পাশে থাকবে।

লেখকঃ
মোঃ আবুল হোসেন
কুকুটিয়া কে, কে, ইনস্টিটিউশন
শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
সিনিয়র যুগ্ম -মহাসচিব
বাশিস( নজরুল)
কেন্দ্রীয় কমিটি

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)