মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জোটভুক্ত সংগঠন “এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ক কমিটি “
বেসরকারি শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থা সীমাহীন বৈষম্যের দূরীকরণে একদফা দাবি জাতীয়করণ দাবিতে দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে দাবি আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ক কমিটি। জাতীয়করণ এখন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক তথা সকল শেণীর জনমানুষের গণদাবি।
তাই এখানে সকল পেশাজীবিদের একত্রিত করা জরুরি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা কখনো অবসরে যেতে পারে না।মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের সার্বিক কল্যাণে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও কাজ করেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন ও যথাযথ সম্মান করেন।
তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করা ও আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা জাতীয়করণ ও বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূরীকরণে অগ্রণ ভুমিকা পালন করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার স্যারের সহযোগিতায় বিভিন্ন সংগঠন জোটভুক্ত হয়।এবং এই সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দের অনুরোধে দেলোয়ার স্যার আমাদের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।আমরা সকল কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার স্যারকে সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে চায়, এমপিও,নন-এমপিও সকল শিক্ষক কর্মচারীর দাবি আদায়ে বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে একদফা একদাবি জাতীয়করণ আদায় করতে চাই। সেক্ষেত্রে বেসরকারি এমপিও ননএমপিও সকল শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা, সমর্থন, দোয়া ও অংশগ্রহণ একান্তভাবে কামনা করছি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম ও সমমনা সংগঠনগুলোর একাত্তত্া অনেক সংগঠন নড়েচড়ে বসেছে। ঝিমিয়ে যাওয়া সংগঠনগুলোও এখন সক্রিয় হচ্ছে।ভাল লক্ষ্মণ। ক্রেডিট কে নিল সেটা নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নেই, দাবি আদায় মুখ্য বিষয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয় কমিটি নেতৃত্ব নিয়ে ভাবে না।আসুন প্রয়োজনে আপনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব।এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আমাদের কার্যক্রম স্থিমিত,ভন্ডুল ও থামিয়ে দিয়ে দালালি করার জন্য ষড়যন্ত্র করতেছে কিছু নামধারী শিক্ষক ও সংগঠন। যতই ষড়যন্ত্র করুন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবই।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। ঐক্যবদ্ধ থাকুন ঐক্যবদ্ধ হোন।
সংগঠন যার যার জাতীয়করণ সবার। আসুন কাদাছোড়াছোড়ি বাদ দিয়ে এক প্লাটফর্ম দাড়াই।আপনি শিক্ষক আমিও শিক্ষক। উপর দিকে থুথু দিলে নিজের উপর পরে।দালালদের শোষণ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা মুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবি আদায় করতে চাই।
“বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে নির্বাহী সভাপতি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি মোঃ নজরুলইসলাম রনিকে নির্বাহী সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং বিটিসি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম কে ১ম যুগ্ম সম্পাদক,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি মোঃ বজলুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ করে ” ২১ সদস্য বিশিষ্ট”এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটি” গঠন করা হয়েছে।”মুজিব বর্ষ” পালন সহ এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখতে শীঘ্রই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত্কারের চেষ্টা করা হবে।পর্যায়ক্রমে সকল সংগঠনকে একীভূত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জয় বাংলা | জয় বঙ্গবন্ধু | জয় হউক শিক্ষকদের
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,
সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি
ও
সদস্য,
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ক কমিটি।