এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চায়
শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত। যে পেশাকে মনে করা হয় সমাজের সবচেয়ে মর্যাদার, সবচেয়ে গৌরবের।যুগে যুগে অনেক মহান ব্যক্তি এই
পেশাকে গ্রহণ করে নিজেরা যেমন গৌরবান্বিতবোধ করেছেন।তেমনি তাদের আলোয় সমাজকে,দেশকে আলোকিত করেছেন। ধারনা করা হয় এই পেশাতে অনেক ক্ষেত্রে বৈষয়িক লাভ,বস্তুগত সমৃদ্ধি না থাকলেও মানসিক প্রশান্তি,নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি তাহলো গৌরবময়জীবন যাপনের নিশ্চয়তা থাকে।
আর যারা এ ধরনের জীবনকে পছন্দ করেন। তারা শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে বেছে নিতে দ্বিধা করেন না।বিত্ত না থাকলে ও চিত্ত আছে,কিংবা পেটের ক্ষুধা না মিটলেও হয়তো মনের ক্ষুধা, সম্মানের ক্ষুধা মিটবে এ আশায়। শিক্ষকদের আলাদা একটা উচ্চ মর্যাদার আসন নির্ধারিত থাকে সর্বক্ষেত্র।
শিক্ষার্থীদের কাছে, অভিভাবকের কাছে,এমনকি যাদের শিক্ষার সাথে, শিক্ষকের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই এরুপ খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের কাছে ও শিক্ষক পূজনীয়, নমস্য। সে কারনে বলা হয় একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র সম্বল,একমাত্র পুঁজি তার মর্যাদা, সম্মান। কিন্তু আদৌ কি আমাদের দেশে শিক্ষকেরা সম্মান ব্যাতীত,তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা পায়? উত্তরে বলবো না।কারন যেখানে শিক্ষকদের বেতন এমনিতেই কম সেখানে ৫% ইনক্রিমেন্ট দিয়ে অতিরিক্ত ৪% কর্তনশিক্ষকদের পেটে লাথি মারার সমতুল্য।আর তাছাড়া শিক্ষক সমাজকে যে বাড়িভাড়া,চিকিৎসা ভাতা ও ঈদ বোনাস দেওয়া হয়।তা লবন আনতে পানতা ফুরানোর মত অবস্তা। যা সরকারী শিক্ষকদের তুলনায় অনেক বৈষম্য। তবে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থ্যা ও মান
সম্পন্ন জনশক্তি ছাড়া সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়।বলা হয়ে থাকে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষার মেরুদন্ড হচ্ছ শিক্ষক।দেশের ৯৭% শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হাতে ন্যাস্ত।আর সেই শিক্ষকের অর্থনৈতিক মুক্তি আজ ও আসে নাই।তাই পরিশেষে বলবো শিক্ষকদের মান সম্মত জীবন মান প্রদান করতে ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত জাতীয়করণ সহ বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধের জোর দাবি জানাই। অন্যথায় দক্ষ জনশক্তিহীন আগামী প্রজন্ম অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
লেখকঃ
মোঃ আজাদ (সহ-গনসংযোগ সম্পাদক)।
বাশিস (কেন্দ্রীয় কমিটি) নজরুল।
গুথুমা কেবিএ আজিজ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।