সাধারণ কিছু কৌশল,যা বদলে দেবে পরীক্ষার খাতার মান!
সবাই চায় ভাল মার্ক পেতে। কিছু কৌশল মেনে পরীক্ষা দিলে তোমার খাতা হবে অাকর্ষণীয়।তাতে মার্কটা তোমার দিকেই ধেয়ে আসবে। হয়ত ভাল না লিখও কৌশলের জোরে ভাল মার্ক পেয়ে গেলে। পরীক্ষার যেহেতু বেশি দিন নেই তাই প্রয়োগ করার সময় এসেছে।
দেখে নাও কৌশলগুলো-
* পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সবার নজর কাড়ে। খাতা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হতে হবে।কাটা কাটি যতদুর সম্ভব না করা। ভুল হয়ে গেলে ঘষা মাজা না করে একটান দিয়ে কাটা। তাতে নজর কাড়বে পরীক্ষকের।
* খাতায় অবশ্যই মার্জিন দিতে হবে। এক স্কেল মার্জিন দিলে দেখতে সুন্দর লাগবে।
* কোনো প্রশ্ন পারনা বিধায় না লিখে রেখে আসবা না। কথাটা এমন তুমি ভুল লিখছো কি না এটা দেখার আগে পরীক্ষক এটা দেখবে কোনো তথ্য সঠিক লিখছো কি না। যদি সঠিক লিখো তবে অবশ্যই মার্ক পাবা।
* প্রথম দিকের পৃষ্টাগুলোতে হাতের লেখা ভাল করবা। এবং যে প্রশ্নটা ভাল পারো সেটা আগে লিখবে। তাতে স্যার বুঝবে যে তুমি ব্যাপারটা জানো প্রথম প্রশ্নে যদি ৯/১০ বা ১০/১০ পাও তবে বাকি গুলোও ভাল হবে এটা স্যার ধরেই নেয়।
* পরীক্ষার হলে পাশের বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য নিবে তবে একটা বিষয় দেখ, তোমার বন্ধু যেটা বলছে ওটা ঠিক নাও হতে পারে। তাই নিজে যেটা জানো ওটাই লিখবে তাতে আফসোস হবে না।
* বইয়ে যেটা আছে ওটা খাতায় তোলার চেষ্টা করবা যাতে পরীক্ষক বুঝতে পারে তুমি বই পড়েছো। বইয়ের নেই এমন আজগবি জিনিস লিখবে না। তাতে শিক্ষক বিরক্ত হলে মার্কটা তোমার খাতায়ই কম পড়বে। বি কেয়ারফুল।
* পরীক্ষায় দায়িত্বরত শিক্ষকের সাথে কখনই র্দুব্যবহার করবে না। দেখে লেখার সময় তাকে অগ্রাহ্য করলে বিপদে পড়তে পারো। যদি স্যার খাতা নিয়ে যায় তবে বিনম্র ভাবে বলবে সরি স্যার আর ভুল করব না। সাবধান তোমার অনেক পাওয়ার থাকতে পারে কিন্তু ঐ সময়টুকু অনেক মুল্যবান তাই ওটা চলে গেলে স্যারের কিছু হবে না যা হওয়ার তোমারই হবে।
* পরীক্ষার খাতায় দুই তিন কালারের কারি ব্যবহার না করাই ভাল। শুধুমাত্র কালো কালি দিয়ে লিখবে। ডট পেন ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ তোমার খাতা কোথায় যাবে সে শিক্ষকের এটা মনোপুতো নাও হতে পারে। আবার দীর্ঘদিন খাতা থাকার কারণে ঐ কালি ছড়ায় যেয়ে খাতার ১২টা বেজে যেতে পারে।
* খাতা লুজ পেজ নিলে সেলাই করলে ভাল হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে স্টাপ্লার ভাল ভাবে করতে হবে যেন ছিড়ে না যায়।
“মনে রেখ খাতায় তোমার নাম লেখা থাকবে না। তোমাকে বিচার করবে তোমার লেখার ধরন, কৌশল, মাধুর্য্য, দেখে। তাই ভাল করে উপস্থাপন করতে পারাটাই একটা বড় ব্যাপার। লিখবে সবাই কিন্তু ভাল মার্ক পাবে সেই যারটা সঠিক এবং সুন্দর। তোমাদের জন্য রইল অনেক শুভ কামনা।”
লিখেছেনঃ অাহমেদ ইশতিয়াক মৃদুল (বায়োকেমিস্ট্রি,জাবি)