বৈষম্য মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাই জাতীয় উন্নয়নের মূলধন!
দেশের সকল ক্ষেত্রে যখন উন্নয়নের জয়জয়কার তখন শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা বৈষম্য বিরাজমান।যত উন্নয়নই আমরা করি না কেনো,যদি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে কোনো উন্নয়নই এ দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবে না।
এক মাত্র মানসম্মত শিক্ষাই একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।যে দেশের জনগোষ্ঠি যত বেশি শিক্ষিত সেই দেশ বিশ্বে তত উন্নত জাতি বা রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
এখন দেখি মানসম্মত শিক্ষা অর্জন কিভাবে সম্ভব।বর্তমান এ দেশে টেকসই ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন,শিক্ষার্থী বৃত্তি,উপবৃত্তি চালু আছে।এছাড়া সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফিস ও সকল পাবলিক ও প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার ফিস প্রদানের কর্মসূচীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।যা অবশ্যই জাতির জন্য আশার সঞ্চার করে এবং প্রশংসার দাবিদার এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকার সুযোগ নাই।
শিক্ষা উন্নয়নের যত বাজেট তা কেবল এ দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থী উন্নয়নের নামে ভোগ করছে এ দেশের সুবিধাভোগী ধ্বনিক শ্রেণির একটি মহল। যেটা কখনোই এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার শতভাগ উন্নয়ন সম্ভব তো নয়ই বরং অসম্ভবও বটে।যারা শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িত রয়েছেন তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না করে,তাদের জীবন মানের উন্নয়ন না ঘটিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হাজার বছরেও বদলানো সম্ভব নয়।এই সহজ কথাটা আমাদের রাষ্ট্রের কর্ণধরদের বুঝতে আর কতকাল লাগবে সেটি জাতির বিবেকের প্রশ্ন।আজ এ দেশের জেলা প্রশাসকরা যেখানে শিক্ষার মানোয়ন্নয়নে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পবা তৈরী করছেন তখনও কেনো সরকারের মধ্যে থেকে এমন প্রস্তাব উঠছে না??
সরকার যখন দেশ উন্নয়নের জন্য, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরী করার কাজ অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে,মহাকশে স্যাটেলাইট প্ররণে সফল হয়েছে,রুপপুরের ম্যাগা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে, তাহলে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই বেহাল দশা থেকে উত্তোরণের জন্য সকল শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজে এত গড়িমসি কিসের?
শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে দেশ মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত ১০/১২ লক্ষ রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসন করতে পারে। যে অর্জন দেশনেত্রীকে বিশ্ব মায়ের খেতাব এনে দিতে পারে। সেই নেত্রীর আর একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ কি এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমে উন্নত শিক্ষার ভিত তৈরী করে দিতে পারে না? আমি মনে করি অবশ্যই পারে। একমাত্র মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাই শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সকল সমস্যার সনাধান করে, এ দেশের শিক্ষক সমাজ কে একটা মানসম্মত জীবন ও শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্র উপহার দিতে পারেন।
তাই আর কাল ক্ষেপণ না করে চলতি বাজেটেই সকল বৈষম্যের অবসান ঘটাতে, শিক্ষকদের হতাশা থেকে মুক্তি দিতে, দেশকে উন্নত বিশ্বে তাল মিলাতে সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনীত অনুরোধ রইলো।
মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন (আপন),
সাধারন সম্পাদক,
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,
চট্টগ্রাম বিভাগ।