কালবৈশাখী ঝড়ে চালা উড়ে গেছে, মাঠে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা
কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রসা ভবনের টিনের চালা উড়ে যাওয়ার দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও ভবন মেরামত না হওয়ায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ডাঙ্গাপাড়া মাহবুবিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভবন সংকটের কারণে মাদ্রাসার কোমলমতী শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার খোলা মাঠে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে।
গত ২৩ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার একমাত্র ভবনটির টিনের চালা উড়ে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভবনটি সংস্কারের জন্য মাদা্রসা সুপার উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করার পরেও ভবন সংস্কার না
হওয়ায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চরম দুভোর্গের শিকার হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার মাদ্রাসা চলাকালিন সময়ে গিয়ে দেখা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মাদ্রাসার একমাত্র টিনশেট ভবনটির টিনের চালা উড়ে যাওয়ার কারনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমের মধ্যে মাদা্রসার মাঠে গাছতলার নিচে বসে
কোরআন শিক্ষা বিষয়ের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
মাদ্রাসা সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের মৃত্যু আব্দুর রহমানের ছেলে সমাজসেবক মাহুবার রহমান এলাকার অসহায় দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের সন্তানদের আরবী শিক্ষার কথা চিন্তা করে নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাটে এক একর জমির উপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সেই সময় থেকে শুরু করে সমাজ সেবক মাহুবার রহমান এলাকাবাসীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে প্রথমে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট দুটি আঁধাপাকা টিকের ঘর নিমার্ণ করেন। পরে ২০১৪ সালে মাদ্রসার নিজস্ব অথার্য়নে ৫ লক্ষ টাকা ব্যায় করে আরো একটি টিনশেট ঘর নিমার্ণ করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৪৬৫ জন। শিক্ষক ১৫
জন এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ৩ জন।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল জলিল বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যতগুলো মাদ্রাসা রয়েছে ফলাফলের দিক থেকে আমাদের মাদ্রাসা সবার উপরে। কিন্তু মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ার ১০ বছর পেড়িয়ে গেলেও একটি সরকারী ভবনের জন্য জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্যসহ সবার কাছে ধনার্ দিয়ে আসলে ভবন নিমার্ণ হচ্ছে না। এমনকি গত ২৩ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার একমাত্র ভবনটির টিন উড়ে যাওয়ার দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও ভবনটি মেরামত না হওয়ার কারনে শিক্ষাথর্ীদের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা মাঠেই নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নুরুল আমিন শাহ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সোমবার সকালে মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। গত ২৩ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার একমাত্র ভবনটির টিনের চালা উড়ে যাওয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা এই গরমের মধ্যে মাদ্রাসা মাঠে পরীক্ষা দিচ্ছে দেখে খুব খারাপ লেগেছে। আমি বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদ্বয়কে অবগত করেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলটের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে হলেও খুব তাড়াতাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মাদ্রাসাটি মেরামত করা হবে। সৌজন্যেঃ বাংলাদেশ টুডে